তোমার পথ আগলে দাঁড়িয়ে
ভালোবাসার দাবিটা হয়তো করা হবে না।
আমি নির্লজ্জ বটে, তাই বলে তামাটে বর্ণের শরীরের ভেতর যে হৃদয় দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে তাতে খেদ থাকবে না এও কি হয়!
যে পথে তোমার বিচরণ
সে পথের ধূলিকণায় নিভৃতে রেখে যাবো ভালোবাসা,
ধূলোর পৃথিবীতে ধূলোকে এড়িয়ে চলতে পেরেছে কে?
কে আছে যার পা ছুঁয়ে দেখেনি ধূলো?
এরপর বাতাসে মিশিয়ে দেব
হৃদয়ে জমাটবদ্ধ যে ভালোবাসা দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেড়িয়ে আসে তার পুরোটা।
যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে শিশিবদ্ধ সুগন্ধী, সেভাবেই বাতাসের ঘনত্বে ব্যাপিত হবে জুঁইফুলের মতো ভালোবাসার মিষ্টি গন্ধ।
যখন তুমি বেলকনিতে আসবে
অথবা ভেঁজাচুল শুকোতে আনমনে হেঁটে বেড়াবে ছাদের কার্ণিশ হতে কার্ণিশে,
তখন তোমার অজান্তেই ভালোবাসা ছুঁয়ে আসবে এলোচুল,
চুপিচুপি ছুঁয়ে আসবে তোমার কপালের ভাঁজ, পদ্মকলির মতো চিবুক,
আর সকালের শিশিরভেঁজা ভুঁইচাঁপার মতো ঠোঁট।
অথচ তোমার পথ আগলে দাঁড়িয়ে
ভালোবাসার দাবিটা হয়তো করা হবে না।
এই গ্যালো মধুপূর্ণিমা,
কতজনই বললো এবারের পূর্নিমায় চাঁদের জোছনা নাকি লোকেদের ঘরে এসেছিল,
কই আমার ঘরে তো আসলো না।
টিনের চালা টিনের ব্যাড়া
কত-শত ফাঁকফোকড়, তবুও তো এলোনা।
তবে কী অমাবস্যা গিলে নিলো আমাকে,
নাকি নক্ষত্রের দল কেঁড়ে নিল সবটুকু আলো!
নিতেই পারে সে আর এমন কী
আমি যে ট্যারাচাঁদের জোছনায় আমৃত্যু স্নান করেছি সেই কবে.....
মনের অন্দরে চাঁদ রেখে
আকাশের চাঁদ দেখি কী করে!
আসছে প্রবারণা পূর্ণিমা
চাঁদের বাড়িতে যাবে চাঁদের জোছনা,
বাদাম দিয়ে ভাসবে প্রণয়ের নৌকা
জোছনায় ঢেউয়ে ঢেউয়ে।
তোমার নোটবুকে লেখা হবে
বিষন্ন কবিতার ভয়াল আর্তনাদ,
তোমার হৃদয়ে গড়ে ওঠা জাদুঘরে
নিদর্শনবস্তু হবে ব্যাক্তিগত জীবনানন্দ দাশ।
অথচ তোমার পথ আগলে দাঁড়িয়ে
ভালোবাসার দাবিটা হয়তো করা হবে না।
বলা হবে না এতো ঘৃণা ক্যানো?
বেঁচে তো আছি,
মরলে কি তবে কাঁদবে তুমি!
শবদেহে থুতু ফেলতে হলেও তো একটু ঘৃণা বাঁচিয়ে রাখা চাই।
০৪|১০|২৩