কতকিছুই না লিখলাম
কত মানুষরে নিয়া কতকিছু
কতকটা প্রেম, কতকটা দ্রোহ,
কতকটা না পাওয়ার আক্ষেপ
কতকটা রাগ, কতকটা অভিমান।
অথচ আমার একটাও কবিতা হলো নাহ।

যেখানে আমার জীবন জল-ফড়িং এর মতো উড়তে শিখলো, নাচতে শিখলো।
হেঁড়ে গলায় সুর উঠলো, কোকিল পেলো লাজ।
কথারা পেলো কথার নাম
ব্যাথারা পেলো উড়বার ডানা, ডান-বাম।
আর সেইখানে কিছু লেখা হলো না।
অথচ প্রতিটা সকালে আজও মনেহয় এখন আমার ইশকুল ব্যাগটা গুছিয়ে নেবার সময়, বেঞ্চ দখলের যুদ্ধে আছে বন্ধু;
একটা ক্লাস, দুইটা ক্লাস অতঃপর চম্পট  
কাগজের উড়োজাহাজ আসমানে পাঠ।

আমার সেইখানেই কিছু লেখা হলো নাহ
যেখানে আমার জীবনের মালা জড়িয়ে আছে সুতাহীন, বিরামহীন গল্পের বিরামচিহ্ন আশ্চর্যবোধকে, বন্ধুর বাহুডোরে, হাসির তুফানে, স্যারের ব্যোমকেশ নজরে।
বেতের কষাঘাতে ভালোবাসা ভাগাভাগি প্রাত্যাহিক রুটিনে।

আমার যে বলা হলোনা প্রিয় কোনো বন্ধুর নাম, ঝালমুড়ি খেতে হবে কে দেবে দাম!
কার সাথে হবে আমার জমানো খুনসুটি
কারা হবে দুঃখ ভোলানো ফুল হেসে কুটিকুটি!
পাঠ চুকে মাঠের খেলায় নামবে কারা, বেজে গেলে ঘন্টা, ইশকুল ছুটি!
অথবা মাঠের কোণে আলোড়ন তুলবে কারা  আমার যে অনেক গল্প বলা বাকী,
আমার যে একট কবিতা লেখা বাকী!
যেখানে লেখা হবে বন্ধুর ছবি
আঁকা হবে কিছু নাম বাঁকা অক্ষরে;
জাতপাত বয়সের সংখ্যা থাকবেনা কিছু তার।

আমার যে কিছুই লেখা হলোনা
লেখা হলোনা সেই কবিতা
প্রিয় কোনো বন্ধু নয়,
আমি বন্ধুকে ভালোবাসি!
প্রাচীরঘেরা ইশকুল, তার প্রতিটা কামড়া প্রিয় বন্ধুর কারিগর; ভালোবাসি তাঁকে!
ভালোবাসি একক শ্রেণির বন্ধনী ছিঁড়ে সকল শ্রেণিতে।
কেবল প্রিয় কোনো বন্ধু নয়
আমি বন্ধুকে ভালোবাসি।


২৭-১১-২৩