তোমাকে ভেবেই হেঁটে এসেছি এতোটা পথ
কাঁটার গালিচা বিছিয়ে দিয়ে গ্যাছো যে পথে।
আজকের এই শীতবর্ষার বিকেল,
উন্মুক্ত হাতের খাপ,
আমার বিষন্ন লাল চায়ের কাপ,
জলন্ত সিগারেটে নিঃশেষে বিলুপ্ত টান,
বুকের বাঁ-পাশটায় শীতার্ত বিরান প্রান্তর,
চশমার আড়ালে চোখের বর্ষা,
সবকিছুই ভুলতে ভুলতে আরও বেশি গেঁথে যায় বিধস্ত নিউরনে।
তোমাকে হারানোর ক্ষণে যে ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছিলাম, তাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ কিছু দুঃখ হৃদয়ে নগ্নীভবন হয় সাইবেরিয়ান শীতের মতো।
জানো বন্যসুন্দরী প্রিয়তমা আনহা..
একটা আস্ত জীবন পার করবার জন্য এক ধূলিকণা সুখ হলেও হয়, দুঃখ লাগে ঢের।
তুমি নাহয় আর কিছু দুঃখই দিলে, সুখগুলো জমিয়ে রেখো ভিন্ন কোনো ঠোঁটের ডগায়।
আজকাল তোমাকে ভেবে ভেবেই দুঃখ আওড়াই, এবেলা ওবেলা সারাবেলায়।
প্রতিটা পদক্ষেপে রক্তাক্ত পদচিহ্ন আঁকা হয়, জানিনা তুমি দেখো কিনা সে-সব করুণ নকশা; দেখলে হয়তো আরও কিছু দুঃখ ছুঁয়ে দিতে সেথায়।
শোনো আনহা আমার আর ভাল লাগে না
এসব বিশ্রী সুখের চাষাবাদ!
আমি হতে পারিনি কখনো সুখ সঞ্চয়ী পূঁজিবাদ।
তাই আরও কিছু দুঃখ দিয়ে যাও
নিয়ে যাও শীতবর্ষায় শীতল আশীর্বাদ,
দিব্যি বাঁচো করপোরেট সুখ-সুগন্ধি মিলিয়ে।
৭-১২-২৩
সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিট