তোমার ধাঁধাময় বেলাভূমি হতে-
মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি প্রিয়,
চলে যাবো নিসর্গের খুব কাছাকাছি।
গহীন অরণ্যে পাখপাখালির সুরের শহর
কিংবা সবুজ ও সোনালীর মিলনক্ষেত্র কৃষকের হৃদয়পুর।
অযথা কাছে টেনো না প্রিয়,
সকল পথ বন্ধ, আছি কাছের দুরত্বে!
আমি শুধু অনুরোধ রেখে যাই তোমার চৌকাঠে,
ইতিহাসের পাতায় উঁকি দিও না প্রিয়,
একটা ঝাপসা ছবির ফ্রেম ঝুলছে-
অন্ধকার ঘরের লোনাধরা দেয়ালে;
হিমঘরের ব্যবচ্ছেদ বেডে শুয়ে আছে-
তোমায় ভালোবেসে থেমে যাওয়া হৃদয়।
মাঝের পাতায়, একটা খরস্রোতা নদী বয়ে যাচ্ছে ইতিহাসের আগা-গোড়ায়,
ভালোবেসে শুকিয়ে গ্যাছে একজোড়া চোখ এ নদীর বুকে।
প্লিজ, ইতিহাসের পাতায় উঁকি দিও না,
উঁকি দিও না প্রিয়!
একটা বোবাকান্নার ঝড়, শ্বাসরুদ্ধকর কিছু মলিন স্মৃতি জড়িয়ে নেবে তোমায়।
কেবল নিতে পারবে না তুমি,
এতো শক্তি নেই তোমার!
তেলাপোকার ভয়ে কাজল নষ্ট করা মেয়ে তুমি,
কী করে দেখবে বলো,
শেষের পাতায় জীবন্ত লাশের কফিনে তোমার প্রাক্তন প্রিয়;
কী করে লিখবে বলো এপিটাফের গায়ে ঘাতকের নাম?
তাই রেখে যাচ্ছি অনুরোধ তোমার চৌকাঠে,
প্লিজ ইতিহাসের পাতায় উঁকি দিও না প্রিয়,
থেকে যাক ইতিহাসেরও শূণ্যস্থান।
১৩-২-২১