পথে নামার পর সেই যে হারালো,
আর কখনোই অতনুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুদূর বড়াইবাড়ির মেলায় তাকে নাকি
একঝলক দেখা গিয়েছিল, বলে গিয়েছে উত্তরপাড়ার বাবুই।
এরপর বছর দু-এক বাদে হাজার মাইল দূরের
কোনো এক জনপদে এলোমেলো চুলের
ময়লা ফতোয়ার এক আধপাগলের সাথে অতনুর চেহারার মিল পেয়েছিল পাশের বাড়ির বিশপের ছেলে রজার।
তারও বছর কয়েক পরে কোনো এক দেশে সুন্দর বিকেলের সোনালী রোদে নদীর পাড় দিয়ে হেটে যাওয়া একজনকে অতনুর মতো মনে হওয়ায় ডাক দেওয়া হয়েছিল,
ঈষৎ ঘুরে তাকিয়েও ছিল, পরক্ষণেই হাটা ধরে সে।
আড্ডাচ্ছলে এমনটাই বলছিল বিদেশফেরত সৌমেন;
এরপর আর তাকে কেউ কখনোই দেখেনি।
অতনু আমাদের প্রতিবেশি ছিল,
আমাদের মাঝে রাঙা পোস্টার ছিল সে,
গরম ভাপের বুদবুদ ছিল।
অতনু একটা ক্ষণস্থায়ী ঝড় ছিল।
পথে নামার পর সেই যে হারালো,
আর কখনোই অতনুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।