এখন শেষ রাত, হয়ত সোয়া চারটা….
সঙ্গমের জন্য উত্তম সময়৷
কেউবা মাতাল হয়ে ঘুমুতে আসছে,
কেইবা বেশ্যালয়ে শেষবারের মত যৌবন পরখ করছে,
কেউবা ঘাড় গুঁজে কবিতা লিখছে….
হয়ত সেও স’ভ্যতার নিমন্ত্রণে….
কিন্তু আজকাল মদ খাবার মত মানুষ নেই দেখে;
জীভটাকে সংবরণ করে।
এখন খুব ভোর, হয়ত আযান হচ্ছে,
মানুষ নেই আজ আর, ছাই ইঁদুরের দল….
ব্যাঙের মত সঙ্গম করে। সবাই জানে তবুও তখনই করে।
এর পরবর্তী ধাপ পশ্চিমপাড়ার ন্যাড়া কুকুরের মত রাস্তায় সঙ্গম….
সময় নেই৷ ছুটছে সবাই,
খালি ছুটছে না নিপতিত হওয়া বীর্য,
যার সময় শেষ অনেক আগে কিন্তু ‘স্থির’ সভ্যতার মতলবে….
সবাই ব্যস্ত এই শহরে….
ব্যস্ত পোয়াতী কবিরাও,
আটমাসী ভ্রুণ কবিতাও সিজার করে….
এই সিজারী কবিতাকে সজাত্য ‘কম্পেলেন’ দিয়ে পুষ্ট করে তোলে….
কি এক সভ্যতা, যার কোনো লক্ষ্য নেই
অনাগত কুয়াশিত জগতে,
শুধু জানে ছুটে চলা; জানে না বিক্ষোভ,
ন্যায়-অন্যায় কিংবা সহস্রাব্দির মিছিল।
তাই শহরে অপরিণত শিশু রাষ্ট্র মেরামত করে;
আর সচিব-মন্ত্রীরা স্কুলে যায়, সংবর্ধনা দিতে,
কেউবা যায় সুইজারল্যান্ডে
‘স্বস্ত্রীক’ স্কুল পরিদর্শনে, জানি না কি শেখে,
জানি শুধু উন্নয়ন করবে।….যার বানে,
গলা ভিজে যায় পারমানবিক স্রোতে কিংবা মিথ্যা কবিতার বুলিতে….
কিছুটা ‘সরকারী গম’ ফেলে রাখুন,
আপনার দেশের কবিরা কামড়াকামড়ি করুক,
সেকেলে আকাশ বাতাস কবিতা নিয়ে;
আর গাড়ি বাড়ির স্বপ্ন নিয়ে।
কাক ছুটে আসুক মার্সিডিজ নিয়ে….
যাতে শেষ অভুক্ত বাহ্মণটাও মরে যায়।
সবাই হোক কেতাদুরস্ত,
যারা পড়বে ব্যবসায় প্রহসন,
আর বেরুবে কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক, চলচ্চিত্রকার রুপে….
হয়ত কিছুক্ষণ বাদে সূর্য উঠবে আমিও দৌড়বো এই শহরে…...
চিন্তার বদহজম হচ্ছে,
গর্ভপাতিত হচ্ছে কবিতা এই শহরে।