সেই একাত্তরে,শৃগালরা--
কশেরুকা,স্যাক্রাম,কক্কিক্স সব মিলিয়ে মেরুদন্ডটাই গুড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো এই সবুজ বাংলার ,
বিশ্ব শৃঙ্খলার বুকে জম্ম দিতে চেয়েছিলো রক্তাক্ত নক্ষত্র,
উদ্দাম পেশীগুলোকে কেটে তৈরী করতে চেয়ছিলো রক্তের স্লেট ।
কিন্তু আমরা-
ক্ষ্রীপ্ত মেঘের বুকে ছড়িয়ে দিয়েছি বিষের নীল সমাধান,
হারিয়েছি পাশন্ডতার বর্বরতায় ফিমার,প্যাটেলা,টিবিয়া,ফিবুলা সহ পুরো "পা" দুটিই,
কিংবা কার্পাল,মেটা কার্পাল,ফ্যালান্জেস সহ পুরো "হাত" দুটিই ।
তবুও ভাঙতে দেইনি সবুজ সোনালী মেরুদন্ডটি
ভাঙতে দেইনি হৃদয়ের ভিতরের-বাহিরের সপ্নের রঙতুলিটি ।
সেই একাত্তরে,শৃগালরা--
স্যানাটোরিয়ামে চালিয়েছিলো পাশন্ডতার ঘৃণ্য মহরত,
জোর করে কেড়ে নিয়েছিলো নারীর প্রমোদ শীৎকার,
মূহুর্তের সপ্নের ঘুড়িটাকে ছুড়ে দিলো বৈশাখের কালো মেঘে ।
কিন্তু আমরা-
স্যানাটরিয়ামে বিছিয়ে দিলাম আরাম রাবার ক্লথ,
শীৎকার দিয়েছি ঠিকই কিন্তু তা ছিলো ঘৃণ্যতার শীৎকার,
বৈশাখী কালো মেঘে আমারাও হয়ে উঠলাম ক্ষ্রীপ্ত কালো মেঘ ।
তবুও,হাসতে দেইনি ঘৃণ্য শৃগালদের
হাসতে দেইনি সেই ওলান ছেঁড়া ঘৃণ্য শৃগালদের ।