জন্ম দিনে দিব বলে তোমায় নিয়ে লেখা
কি উপমা দিব তোমায়,
নেই যে তোমার সীমারেখা।
লেখক সাধক জ্ঞানী গুণী আছে ধরায় যত
তোমায় নিয়ে লিখতে পারে
নিযুত কোটি শত শত।
তাহার মাঝে আমি যে এক সাতিশয় কেউকাটা
আমার ভাবনায় তুমি অসীম,
আমি সেথায় জোয়ার ভাটা ।
আপেল কাটা বর্ণ তোমার দোহারা গড়ন
এক চাহনি দিয়ে কত
পুরুষ আত্মা করছে হরণ।
পাগল আমিও তোমাতে ভিতর ও বাহিরে
তুমি আমার আপনের আপন,
তোমার মত আর কেউ নাহিরে।
নিদ্রাহরি করে আমায় , হিন্দোলিত করে প্রতিটি নিস্বাসে।
যে তিল তা আছে
তোমার ওই অধরের পাশে।
তোমার নাকের নোলক হব , হবো তোমার কানের দুল।
ভালোবাসে তাই তো তোমার
নাম দিয়েছি কাশফুল।
নিশানী তুমি, রক্ত করবীর মতো তোমার মন
অল্প আঘাতে হয়রে সেথায়
অনেক বড় রক্ত ক্ষরণ।
দূর নীলিমায় হয়তো আমি হারিয়ে যেতাম
অতল প্রবাহে ভাসতে থাকতাম।
মহা প্রয়ানে ও তো আমার ছিল না কোনো ভয়
হটাৎ করে এলে তুমি
হয়ে মোর শেষ আশ্রয়।
লুপ্ত হয়ে ঘুরছিলাম তখন উম্মাদেরই দেশে
আশুগ ভরে পেলাম তোমায়
বন্ধুর বেশে।
তোমার মতো বন্ধু যদি ধরণীর সবার হয় !
কোনো প্রাণ যে যাবে না তটে
নেই যে তাহার কোনো সংশয়।
বন্ধু যেমন বন্ধুর কাছে জপে মনের আশ
তেমন করে তোমার কাছে
আমার একটাই অভিলাষ।
যখন আমার সময় হবে বিদায় বেলা আসে
তখন ও যেন দেখতে পাই তুমি আছো
আমারই আসে পাশে
দেখবো সেদিন জুড়াবো দু'চোখ বুজবো নয়ন শেষে
বিদায় দিও বন্ধু সেদিন
আমায় অনেক ভালোবেসে।
তোমার কাছে চাইবো না পানা
নিজ থেকেই সেদিন করে দিও ক্ষমা।
আমার সব ত্রূটি বিচ্যুতি, দুষ্টামি
আরো আছে যত ভুল
তুমি আমার অনেক প্ৰিয় আমারই তো কাশফুল।