রাজলক্ষী সিঁদুর পড়া কন্যা চলে সারি
তা দেখে হায় শিমুল তলায় বখাট ছেলের পারি।
               -অন্ধ সমাজ হাই কি বলিবো তাই।
অসময়ে বসিয়া থাকে দল বেধে রোজ
সুযোগ পেলে বের হয় তার পুরুষত্বের রূপ।
কত নারী বয়ছে ব্যথা অশ্রু জরায় একা
কুহেলি আঁধার গভীর রাতের কে শুনিবে তার কথা।
গভীর নিশিতে নারীর উপর চাপিয়ে পরা তারা
ভোগের নিশায় দেখেনি বুঝি কিযে মায়া তার ভরা।
ভোগের আগাতে দাগ পরে আছে সারাটি অঙ্গ দরে
কারো বুঝি হায় মায়া হয়নি নারীর মুখটি চেয়ে।
কালো পৃথিবীর আঁধার তাণ্ডব মিথ্যা অপরূপ
যুগ যুগ ধরে আর কতকাল থাকবে জাতি চুপ।
ভোবনভোলানো মায়া হাসি চাঁদের মতো আঁখি
গায়ে জরানো সোনার চাদর পায়ে নুপুর রাশি।
অঙ্গ হইতে সোনার চাদর কারিয়া নিলো কারা
নিশী রাতের শান্ত  বেলায় সারিয়া গেছে তারা।
স্বজন প্রীতি কাদিয়া বেড়ায়,চাপা দিয়ে সব সুখ
আমলারা সব বন্ধ করে আইনের ধারার মুখ।
নতুন বঁধু বইছে সাজে কত আসা নিয়ে বুকে।
হাসি মুখে আজ ছাড়িয়ে যাবে শশুর বাড়ীর ঘরে।
এমন বঁধু ধর্ষন শিকার হইছে রাতে কত।
অন্ধ পৃথিবীর ক্লান্ত বেলায় ভাঙ্গলো দিঘির কুল শত।
কতো যন্ত্রনা আর মিথ্যা হাসি তার মুখে পাবে সারি
জগতের যত কলঙ্ক আছে মাখাইয়া দিবে তারি।
যারা আজ তারে দিয়েছে কলঙ্ক ঘৃনায় ফিরায় মুখ
একদিন তার রূপের মোহে পুইরা খুঁজিয়া নিল তারা সুখ।
কলঙ্কের কালো দাগ হায় কত যে হয়েছে মনে ক্ষত।
যে ব্যথা তারে টানিয়া নিলো চির বিদায়ের পথে।

                                           -সংক্ষিপ্ত