তোমাকে ভুলে যেতে চাইলেও ঠিক ভোলা হয়ে ওঠে না
বড় ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি আজকাল।
স্মৃতি রোমন্থন করতে গেলেই বিস্মৃতির অতঁলে তলিয়ে যাই।
না আর কাঁদি না!
কাঁদতে ভুলে গেছি আজ বহুদিন।
কেবল একা হয়ে গেলে স্মৃতিরা যেন আঁকড়ে ধরে
হঠাৎ হঠাৎ হৃদয় হাহাকার করে ওঠে।
আমি প্রেমিকার চোখে এখন আর জগৎ দেখিনা।
ভালবেসে ভালবাসার অর্থ খুঁজি না।
এখন কেবল বেঁচে থাকাটাকেই প্রাধান্য দিই ।
এ সমাজ ব্যবস্থায় সংবেদনশীলতার কোন মূল্য নেই।
কঠিন বাস্তবতা আর তার কটকটে নোংরামি
তা হতে পারে ভাষার, মূল্যবোধের, সংস্কৃতির, মানসিকতার।
যা আর নিতে পারি না, বড় কষ্ট হয়।
যেন বেঁচে থাকাটাকেই করে তুলছে দুর্বিষহ প্রতিনিয়ত।
তা যেন আর এই মাটির মনটিকেই বাঁচিয়ে রাখতে দিচ্ছে না।
কখন যে এ পূর্ণ হৃদয় শূন্য হয়ে গেলো নিজেই তার আর খোঁজ পেলাম না।
নিজেকেই যখন দেখি পায়ে পা দিয়ে পঙ্কিল নর্দমার কীটের মত
কখন যে নোংরামির অংশ হয়ে যাচ্ছি!
আর এই সমাজের এক অচেনা জীব হয়ে বাঁচছি
ভাবতেই বড় অবাক লাগে!
নিজের হীন তুচ্ছ বিবেক, বিভীষিকার দহনে কালো কলঙ্কে পরিপূর্ণ হয়ে হাহাকার করে ওঠে।
আর তার অনুশোচনায় দগ্ধ হৃদয়
যেন একান্ত আশ্রয় খোঁজে নিজ অন্তর কুটিরে।
তাই আর অভিযোগ,অনুযোগ,অভিমান নেই কারো বিরুদ্ধে।
মনের গহ্বরে মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কি আর লড়াই করে বিজয়িনী হওয়া যায়?যায় না!
এ যেন প্রতিটি মানব জীবনের এক একটি ব্যর্থ প্রয়াস।
নিজের অজান্তেই দখিন দুয়ারে বসে মনের পাতা খুলে বসে আছি।
রাত আসবে সে রাতে হয়তো পূর্ণিমাও থাকবে
এখন আর মেঘের সাথে ভেসে যেতে কোন ভয় নেই।
নেই কোন দুর্ভাবনা কিংবা দূরস্বপ্ন।
কেননা এখন জানি কাছের মানুষগুলো ভালই থাকবে।