তিক্ততার চোরাবালিতে মন আঁটকে একাকার।
আমি নির্ভুল সমাজ ব্যবস্থায় বাঁচতে চাই।
কিন্তু আমি এই দগ্ধ নগরীর বাসিন্দা হয়ে
কবে যে শিশু কীট থেকে বিষাক্ত শুয়োপোকা হয়ে গেছি নিজেই জানি না।
বেঁচে থাকা গ্লানিময়, গ্লানিময় বলে চিৎকার করে ধুলো উড়োই
কিন্তু কে ফেলল এই ধূলতে তা একবার পেছন ফিরে তাকাই না।
আমি আত্মনিন্দে কিংবা গ্লানির রসাতলে আর যাই না
জীবন নিয়ে ভাবাই ছেড়ে দিয়েছি।
এ জীবনে আকাশ দেখেছি তাতে রোদ বৃষ্টি ঝড় সবই দেখেছি
হতাস নই, যারা ভাবে আমি হতাশাগ্রস্ত তারা ভুলভাবে।
তারা আমাকে জানেই না!
হুম হয়তো কিছুটা স্বপ্নে বাঁচি,বাঁচলাম ই না হয়
ছোট্ট একটা জীবন, যদি এভাবে বেঁচে থাকা যায় ক্ষতি কি!
হ্যা ভয় আছে যদি না পারি!
সপ্নগুল ভেঙ্গে আকাশ যদি উন্মুক্ত হয়ে যায়
সে জীবন কি নিতে পারব?
সে জীবনে কি আদৌ বেঁচে থাকবো?
আমি! এই আমি বলছি! যারা ভালোবাসো, যারা জানো আমাকে !
মন থেকে বিশ্বাস করে বল তো!
সে জীবনে কি আদৌ আমি থাকবো?
এ আকাশ বাতাস ধরিত্রী আমায় জানে
মানুষ না হলেও কথা ছিল প্রকৃতি কি করে করবে বলতে পারো?
বিশ্বাসঘাতকতা করা অনেক কঠিন কাজ।
বেঁচে আছি বেঁচে থাকবো
যতদিন সহ্যসীমায় থাকবে ততদিন থাকবো
এরপর আর কার ও সাধ্য নেই।
কেননা মনে জানি কেউ একজন অনেক ভালবাসে
আর ভালবাসার কোন প্রতিদান হয় না।