এলোচুলে আকাশীরা গল্প করে
মাঝদুপুরে খোলা দরজার পাশে বসে একে অপরের মাথায় বিলি কেটে দেয়।
কারও চিৎকারে হয়তো নিজেরাও জড়িয়ে পড়ে
আর নিজের অজান্তেই কোন তর্কের অংশ হয়ে ওঠে।
মনের বা কথার মাধুর্য নিয়ে এদের নেই কোন অভিলাষ
দুশ্চিন্তা বা শংসয়।
জীবনের অনুভূতি এখানে বড়ো নির্জীব।
এখানে কেবল শরীরের অনুভূতি প্রাধান্য পায়।
যান্ত্রিক মানবিকতায় সুক্ষ্ম অনুভূতিগুলো হয়ে যায় স্থুল
প্রান হারিয়ে নিঃশ্বাসগুলো হয়ে ওঠে নিস্তব্ধ।
উচ্চারণে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে নিজেই নিজের গলা চেপে ধরে!
আর অকস্মাৎ নিস্তব্ধতায় নিঝঝুম হয়ে সন্ধ্যা নামে।
মালতী বনে জন্মে হাজারো শূককীট।
আর প্রানান্ত দিয়ে জানিয়ে যায় নিজেদের উপস্থিতি।
জীবন গতিহীন হয়েও খুঁজে নেয় অন্য কোন পথ।
মাঝি দাড়ের নৌক না ভিড়িয়ে চলে অন্য পথে,
আকাশীরা তিলে তিলে গড়ে তোলে সুখের সংসার।
যা কোন এক ঘূর্ণিঝড়ে বিলীন হবে জেনেও আকড়ে ধরে,
বেঁচে থাকার এক কঠিন তাগিদে।
ভেলায় ভাসে জীবনের নানারূপ।
নিস্তব্ধতা তার জাল কেটে বেড়িয়ে আসার পায়তারা করে
এগিয়ে চলে আরেক সীমাহীন নিস্তব্ধতার পথে।