চরণতলে চম্পা প্রস্ফুটে, দেহে সুগন্ধ-ধারা,
মলয়ে চলে যেন বসন্ত, সুখ বিলায় সারা।
নয়নে নীল কুন্দল ঝরে, হাসিতে চন্দ্র বিভা,
চলন যমুনা তরঙ্গে, নখেতে অলকা শোভা।
গলদেশে ঘাম-ঝরিছে মুকতা, কর্ণে রত্নরাশি,
কেশে বরুণ-মেঘ নৃত্যে, আঙুলে আলো ভাসাভাসি।
ফের কহি: জ্বালা সহি, এই বহি ভোর সন্ধ্যাবেলা,
মিথ্যে হইলে পোড়ে মুখ, মরি যেনো একেলা।
বাহুর বেলক রাশি, কেশ বরুণ-মেঘবিন্ধ,
অলকে অরুণ জ্যোতি, মাধবী ঘ্রাণে বৃষ্টি সিন্ধ।
নয়নে নীলকুজন, হাস্যে সুধাসিক্ত গীত,
শ্রীমুখে কুসুম গন্ধ, চন্দনের দেহ সৃজিত।
হে আনন্য সখি কহ কি উপায় হয়?
চাহিয়া মজিল জনম, কালের হইলো ক্ষয়।
চরণতলে মূর্খ পড়ি চাহে ত্রিভুবন,
তোমার রূপে বন্দি ভুবন, সখি কহো, কী এ তৃষ্ণা?
তিলোত্তমা নয়ন তৃষিত করি, কৃষ্ণের মধুর সুর,
তাহার এক হাসিতে যেন, থামে কালচক্রের দূর।
সখি, তমালবরণ ভণিতা, ভালে চম্পকধারা,
রূপ ঝুরে জোছনাজলে, দেহে হাসে চন্দ্রকলারা।