"প্রণয়কাব্যে প্রণয়িনী হেরিছে সকল পঙক্তি খুশিদায়ী;
এ নীলাম্বর কহে- প্রণয়কাব্যে প্রণয় ছাড়া প্রণয়বিরহ দীর্ঘস্থায়ী।।"
সন্ধ্যেবেলায়- হেলায়ফেলায় কহিনু একথা প্রাণের প্রিয়ারে,
শিয়রে বসিয়া- দু'বাহু চষিয়া, পুছিলো সে আমারে- সমভিব্যাহারে;
"নীলাম্বরে কহো সব খুলিয়া কহিতে- অপূর্ণ তো কি, প্রেম তো!"
পরদিন গেনু- ফুলের রেনু- ফ্যালফ্যালে চায় সে! আহারে!!
নীলাম্বরে শুধায়ে জানিয়াছি সুধাময়ী দ্বিত; গীত; অপহৃত সুখ সুধাহীন ব্যাথা-
পথের বেদন শুনিয়া তাহার- জেদে; খেদে; অক্ষিরোদনে ফুরায়ে গিয়াছে কথা।
ব্যাথার চেয়েও বাজিছে বুকে- সুখ- অসুখে- শুক সুধাময়ীর চলিয়া যাওয়া-
নীলাম্বরের পাকা চুল- কত ভুল- ফুলের সাক্ষ্য! কতো বোশেখের তীক্ষ্ণ হাওয়া;
কত- শতকাল যেনো তাহার কুটির- মাটির বুকেতে শুকায়ে পড়িয়া খালি, নীলাম্বর দীন।
জীবনের ফেরে- ফেরেনিকো পাখি; ফুঁকিয়া আগুন; ঝড়ের ফাগুন জীর্ণশীর্ণ দিন! স্পর্শহীন।
সুধাময়ীহীন বাঁচিবার শক্তি থাকিলে, এই জরাবোধ আঁচিয়া লইতো না তাহারে,
কেমন শূন্য বোধ হয়, চূর্ণ বোধ হয়, আহারে!
দেহে নাই কিছু, খ্যাংরাকাঠি: ফ্রেমের ছবি- কবি নীলাম্বরে জীবন শুষিয়া নিয়াছে ঢের,
প্রেমে-অপ্রেমে পোড়া দেহ- শবের মতন জুঝিয়াছে আর পুড়িছেই খালি এর।।
আগস্ট, ২০২৩