তখন শীতের শেষ,
আমার মৃত শহরে তুমি এলে, বেশ-
কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে দেখলে চারপাশ,
কি যেনো কিভাবে ছাই হয়ে গেলো ঘাস,
রোদ এলো, বৃষ্টি হোলো, ভুল হয়ে গেলো ফুল-
গাছের পাতা- মুকুল যেনো তোমার মেঘের চুল!
আঙ্গিনাতে তোমার নখে ফিরলো সমুদ্দুরের ঢেউ,
এক মনেতে জাগলো কথা, তুমি-ই আমার কেউ।।
এক পলকে পালক পেলো নিস্বার পানকৌড়ি,
বন্ধ চোখে ঝরঝরিয়ে উঠলো কেঁদে মৌরি।
একদিন বহুদিন, আমিও বিড়ম্বিত ছিলাম,
তারপর সেই যে পুড়ে গেলাম, ভুলে গেলাম-
আর সব! এক আঙুলে ফুলের কাঁটায় হাসলে পরমা!!
ওহে করুনাময়ী- প্রিয়মুখ ওগো নিরুপমা;
আমার অচ্ছুৎ ধূলিধূসরিত নগ্ন হাত, কোরো ক্ষমা।।
নতজানু হোয়ে সেই টানা চোখ দেখে মরি,
অবিরাম নিশিরাত তোমারেই স্মরি।
তীর্থের কাক যেনো বসে স্রেফ তপি দেবী নাম,
মনে হয় বলি চিরদিন তোমারই ছিলো হৃদয় আমা।।
প্রবঞ্চন ভঞ্জন এ তুচ্ছের পূজো লও পদতলে-
আমরণ রূহ ছেড়ে মোহভরে ওই করতলে।
ভুলচুক আছে জানি আমি, ক্ষোভ ভরে রাখিওনা জমা।।