ভারি বরিষনে- কদমের সনে আকাশ ভিজেছে আজ;
মধুস্বর ঘুমে- স্বপনের ধুমে আঁধারে চুমেছে লাজ।
মেঘের ধোঁয়ায় কোনক্ষণে যেনো লুকিয়ে পালালো চাঁদ,
আলো নেই বলে- নীল বিষফুলে ভুলেছি জলের স্বাদ।

হিম জ্বরে পুড়ে- এক রোদ্দুরে করেছিনু কার আশ,
গিয়েছিনু ভুলে- আঙ্গুলে মোর- সব্বোনেশে ঘোর- কাঁটায় চতুর্পাশ।
সমুদ্দুর স্থির, পাখিহারা নীড়, মিইয়ে গিয়েছে ঘাস-
আকাশে একই মেঘ; বকুলকুড়ি এক সুবাসে শ্রান্ত-
নাটাফল শখে- মাছরাঙা, বকে- নি:স্ব তবুও ধুন্দুলবনের প্রান্ত,
কতো ফুল পাখি, নেই ডাকাডাকি- কি এক অন্ধ শোকে ভ্রান্ত।
এই সবুজে- অবুঝ সন্ধ্যা; মৃত্যু যদি আনতো!
রোজকার মতো- ভেতরের ক্ষত; কেউ যদি তা জানতো।
প্রেম আছে ভেবে বসন্ত ফুটিয়ে মন ছিলো যে শান্ত;
মোহ ভেঙে তার, চোখ ছারখার; বাঁচতে বাঁচতে ক্লান্ত।

আগস্ট, ২০২৩