জানিনাকো আজ কোন দ্রোহে তুমি, কার আকাশে দৃষ্টি;
ভুলেছো বুঝি মোরে, ধূলো বাহুডোরে, শুকিয়েছে চোখে বৃষ্টি।
আর ভুলে গেছো কোন ভুলে তুমি হয়েছিলে ফুল,
কোনকালে দিয়েছিনু হাতে মর্মরিত এ মৃত বকুল।
ফিরায়েছো সেই বহুকাল আগে, জীবনের অগ্রভাগে -
হয়নাই তবু তোমার অমলিন নাম মোছা।
কোনো কোনো রাতে- জোছনার সাথে
মনে পড়ে। অন্দরে- কন্দরে জাগে খোঁচা।
দ্বিধাভরে কয়েছিনু কাপাকাপা ঠোঁটে, "হবে এই অধমের প্রিয়তমা?"
মৃদুহাস্যে সুধায়েছো স্রেফ, "এইটুকু বুঝি প্রেম রয়েছিলো জমা?"
চিবুক ফিরে- বুক চিড়ে, আরও কইতে গিয়েছি যেই-
চকিতে মনে হোলো, তুমি সমুদ্দুর, আর তুমি নেই।
তবুও ভেবেছি, নিজের আঙ্গুলে জড়ালাম নয় একরাশ সফেন ফেনা,
ভেবে চেয়ে দেখি, তুমি নীলিমা, জলনিধি না।
ভাবলুম বিহঙ্গম হবো, পাশে রবো,
যেইনা উড়বো বলে মেলেছি ডানা, একি!
তুমি রঙ্গন হয়ে গ্যাছো, অবাক নেত্রে দেখি।
আমি যা-ই হই, যে কথা-ই কই, এই তুমি যামিনী-
রজনীগন্ধা- উর্মিলহরী- ইন্দু- জলের বিন্দু;
এ-ই তুমি শিখন্ডী, অরণ্যানী, মানবী মন্দাকিনী!