সাধু এখন দু’হাতে টাকা উড়োয়
গ্রাম-পঞ্চায়েত তাকে ছাড়া হয় না
নিতিনদের বাড়িটা সে কিনেছে আড়ঙের দেড়গুণ চড়া মূল্যে!
হরিপদ, কাশীরাম তার দর্শনে আজ আহলাদে আটখানা
পেন্নাম করতে ভুলেন না স্বয়ং তুলসী দাস-
ছেড়া-ফোড়া জামা গায়
পরম অনাদরে ইস্কুল গমন
বাবার হালচাষে প্রত্যহ হাত রাখা
সব মনে আছে সাধুর।
সে ঘামের গন্ধ, মহাজনের রক্তচক্ষু-নীরিহ আত্মচিৎকার
আজো মনে হলে আতকে উঠে সে!
ছোটজাত! ছোটো জাতের বাচ্চার এতো সাহস!
আমার মেয়ের সাথে কিনা...!
এইসব বলতে বলতে রাগে ক্ষোভে ফেটে পরা
মালতীর বাবার বেধড়ক জুতাপেটা
আজো বেজে উঠে সাধুর কানে-
নিজের একবুক কষ্ট আর মালতীর অশ্রুজল
সাধুকে এ জায়গায় নিয়ে আসবে
কেউ ভাবেনি কোনদিন... !
ভাবেনি মালতীও-
ভাবলে হয়তো বিষ খেতো না বিয়ের রাতে!
হায় নিয়তি!
সব আজ সাধুর নখদর্পণে
জগৎ সংসার তার পায়ের ধুলোতে ধন্য !
চরণদাস, দুলারাণী আজ বেঁচে নেই
বেঁচে নেই মালতী-
বেঁচে আছে সাধু এক বুক কষ্টে মাটি চাপা দিয়ে!
তুলসী দাস, ভূপতি, নিপেন, হরিহরদের
দু’চোখের তারায় ফুল হয়ে।
সে বেঁচে থাকুক-
দুর্দিনের এই শকুনদের
নিত্য পঁচা গোস্ত গিলাতে।
উত্তরা, ঢাকা
৩০/০৭/২০১৬ খ্রিস্টাব্দ।