আমি নবযৌবনে পা দেয়া কুমারীর দম্ভ
বীরের গুনগুনে গাওয়া গান।
ঝোড়ো হাওয়া ঠেলে উড়ে যাওয়া বলাকা
গরভিনী মায়ের মুখর চেয়ে থাকা
অবুঝ শিশুর এই ধরাধামে
প্রথব হাসির বান।
বীরের গুনগুনে গাওয়া গান।
পথে যেতে যত পলাশ-বকুল দেখবে ফুটে রয়
তাহার পরে প্রজাপতি আমি...মধুকর নিশ্চয়।
হালের লাঙল-
কৃষকের বল...সারা দিনমান আমি-
রাতের আঁধারে প্রিয়ার ঘরে
সোহাগ নিয়ে নামি!
সুখে বল দুখে হাসি আমি নাচি
সদা করি সুখ সম্প্রদান।।
মজুর মুটে যে পথে হাঁটে
ঝরায় দেহের ঘাম...
আমি সেই পথে তাহাদের সাথে
লিখাই আমার নাম।
একমুঠো ভাত এক ঘটি জল
যদিও আমার আছে সম্বল
নই আমি ভীরু জীবন সংগ্রামে
লড়াই আমার দুখের বামে
ভাটীর গাঙের তরণীতে আমি
পাড়ি দিই উজান।।
উত্তরা, ঢাকা
১৯/০৩/২০১৬ খ্রিস্টাব্দ।