তোমায় দেখেছি আমি
কোন এক বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায়
ভেজা চুলে
ভেজা আবরণে
ভেজা পথ চলায়।
দু’পায়ের  নূপুরে ছিল রুনুঝুনু শব্দ
আকাশে ছিল বিজুলীর ঝলকানি!
ঘরে ফেরার খুব তাড়া-
ফিরে তাকাবার অবসর ছিল না এতটুকু তোমার!

একপশলা বৃষ্টি মাঝে স্বচ্ছ আকাশ
যেন চাঁদ নেমে এ’ল ধরায়
মাটিতে হাঁটবে বলে-
হায়! কি দেখেছি!
প্রভাত হতে তখনো বাকী  দীর্ঘ একটি রাত;
হাঁটা দিলাম সেই ঘরটার দিকে
যেথায় শুয়ে-বসে স্বপ্ন বুনছি, স্বপ্ন দেখছি
তোমায় নিয়ে-গত পাঁচটি  বছর!

তুমি জানো না!
জানবার কথাও নয়-
পরদিন খুঁজতে গিয়ে দেখি তালাবন্ধ!
যেই ঘরটিতে তোমায় ছেড়ে এসেছিলো
আমার একজোড়া মুগ্ধ চোখ:
হায় কেন সেদিন-
কেন সেদিন গেলেম না তোমার চোখের হিতে?
প্রিয়দর্শিনী!
-হয়তো তুমি তিরস্কার করতে!
তাও মন্দ ছিল না-
কিছু একটা নিয়ে ফিরতাম ঘরে,
রোজকার শূন্য হাত
আর ভাল লাগে না!

আমি জানি আমায় পূর্ণ করবার সামর্থ্য
তোমার আজ নেই!
হৃদয় তোমার দৃঢ় কি-না জানি না-
গাঢ় লাল শাড়িটিতে তোমায় মানিয়েছে বেশ!
আমার হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হয় অহর্নিশ
বোধ করি, সেই রক্তের লাল নিয়ত রঙিন করে
তোমার চলার পথ।
ধন্য তুমি
অনন্য থেকো
ভগ্ন হৃদয়ের নগ্ন মন্দিরে প্রতিদিন পুজোর ফুল হয়ে।

উত্তরা, ঢাকা
১৪/০৩/২০১৬ খ্রিস্টাব্দ।