আমার ছোট্টবাবু মেলায় যাবে
ধরেছে সে বায়না,
সকাল থেকে মনভারী তার
কিছুই খেতে চায় না।
বাবু ধরেছে গো বায়না।
কিনবে চড়কি, বাঁশি-বেলুন
ঘোড়া-হাতি, মাটির হাঁড়ি,
হেঁটে হেঁটে বলে এসেছে সে
পাড়া-পড়শির বাড়ি-
মায়ের কাছে আবদার বড়-
“বল, বাবায় টাকা দিতে-
পাড়ার সবার লগে আমায়
ঘোসাইস্থলে যেতে”।
মা বলবে না,
খেপা বাবু তাই
দিশের ঠাহর পায় না।
সকাল থেকে মনভারী তার
কিছুই খেতে চায় না।
বাবু ধরেছে গো বায়না।
আননু ডেকে পাশে রেখে
“বললাম, খেয়ে নে সোনা,
তোর মা বলেছে মেলায় যাবি
সবকিছু হবে কেনা”।
“নিবা বা’জান মেলায় আমায়”!
খুশি কে দেখে তার-
কখন যাবে সাধের মেলায়
তর সইছে না আর!
খেয়ে নিল খোকা হাসিমুখে খুব
খুশিতে ভরা বুক,
সেই খুশিতে ভাঙা মনে মোদের
নিমিষে ছড়াল সুখ।
নিয়ে গেলাম সোনা বাবুকে আমার
ঘোসাইস্থলের মেলা,
তারে নিয়ে আমোদে-আহলাদে
কেটে গেল সারাবেলা-
ফিরব ঘরে যেই বলেছি
মুখভার দেখি তার!
কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাছে
করছে সে আবদার-
আবার যখন বসবে মেলা
আনতে হবে তারে,
নইলে খোকা থাকবে মেলায়
ফিরবে না আর ঘরে!
আদর করে বুকে জড়িয়ে
বললাম,“ কাঁদে না সোনা,
তোরে ছাড়া আরবার মেলা
কখনো হবে না”!
মানল খোকা হাসল শেষে
চড়ল বাবার কাঁধে,
এমন সুখের বায়না দেখতে
মন আমার রোজ সাধে।
উত্তরা, ঢাকা
১০/০৪/২০১৬ খ্রিস্টাব্দ।