ক্লান্তি-পঙ্কিলতা-জঞ্জাল-ঝঞ্ঝা ঝেড়ে চলো,
কোন ভেজা সোদা গন্ধের মাটিতে,কিংবা নরম বালিতে
নয়তো মোলায়েম ঘাসে পা-জোড়া পেতে দিয়ে
গল্প হোক পরের পথে কতটা রোমাঞ্চ তা নিয়ে,
গল্প হোক নতুনে মানিয়ে
নিজেকে নতুন করে শানিয়ে
চলতে শেখার
চলো ছুঁই নতুন শুরুর হাতছানি।

এই হাতে রাখো হাত,
ভুলে অভিমান আর পুরোন প্রতিঘাত
প্রতিহিংসায় জোরালো প্রতিবাদ।

তবে সেই ই ভালো ভুলি দু:খ দুজনে
আবেগের আবাদে লাগুক মড়ক।
চৈত্রের রোদে পোড়া খাঁটি ফসলের মত প্রেম
গোলা ভরা ধানের রুপকথা নয়
বুক ভরা দরদের চুপকথা চলুক চোখের চাঞ্চল্যে।

সমাজ খড়গ তোলে শীতল আশ্রয় পেলে,
খরতাপে পুড়তে যখন, সমাজে কি মেলে?
বৈষয়িক বিষবাস্পে সেদ্ধ নাকাল আর কত,
যা কিছু মেকি তা মেখে মাকাল আর কত!
তুমি আমি বাঁচি যদি তারস্বরে চিৎকারে,
কিছু বিকেল কাটে যদি সুখের বিকারে,
বিকারগ্রস্ত বেহুদারা নিন্দা চালালে কি যায় আসে রে!

জিবন্মৃত যখন তুমি
কে দিয়েছে ঠোটে দু চামচ জল,
কে ছুঁয়েছিলো তোমার চোখের অঝোর জলে
মমতার আঁচল?
হুম,যদি কেউই না করে তা তবে কারো জন্য তুমি কেন,
নশ্বর জীবনে একবার হারালে চিরতরে হারাবে জেনো।
তো আরেকবার বাঁচি,খাদে পড়া গাড়ির শেষ গিয়ার চেপে,
পাছে বলারা কিছু বলবে,
বাঁচার এ লড়াইয়ে তা টিকবেনা ধোপে।

তারা না ছিলো সাতে বা পাঁচে এমনকি শুন্যতে,
তবে কেন ভয় তোমার সেই সব অন্যতে?

তুমি একা শুধু তোমারই ছিলে
জরায়ু থেকে জমিনে
গড় আয়ু শেষে গোরে
তুমিতো আজন্ম একা।

মাঝের সময়ে যা কিছু দেখা,
মধ্যবিত্তিয় মায়া,পরিমিত প্রেম,বহু বিভ্রম আর ঢের ধোকা।
এভাবে আর কত রে বোকা?

তাইতো বলছি চলো
বাঁচি বাঁচার মত আরেকবার
যেন আবার বাঁচার সাধ জাগে,
ফের হলে দেখা তোমার আমার।

৯ মাঘ,১৪২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়া।