সুদীর্ঘ নিদ্রা হতে জেগে উঠবার পর বোধ করলাম,
এক সরলরৈখিক মৃত্যুচক্রকে ঘিরে নিয়তই আবর্তিত হচ্ছি।
প্রতিদিন জেগে উঠছি, আবার মারা যাচ্ছি।
আবার জেগে উঠছি;
একটা সময় যখন এই করতে করতে আমরা ক্লান্ত, ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়ি,
তখন আমরা যে অবস্থার সম্মুখিন হই, তা হলো স্থিতাবস্থা।
এই স্থিতাবস্থায় আমরা দেখতে পাই মহাকাল, সময় এবং স্রষ্টাতত্ত্ব প্রত্যেকে প্রত্যেককে জ্যামিতিক উপায়ে ছেদ করে পিথাগোরাসের স্রষ্টাঙ্গে প্রণিপাত জানাচ্ছে।

সেইসাথে আমরা এও দেখতে পাই যে, গ্যালিলিও'র দোলনতত্ত্বের সাক্ষী পিসা'র হেলানো টাওয়ার আরো খানিকটা হেলে যায় পশ্চিমের দিকে; ঠিক এই মুহুর্তেই হয়তো।
দ্বার্থ্যহীনভাবেই আমরা যারা নিঃশ্বাস গ্রহণ করছি তারা বিশ্বাস করি যে, অনাগত মৃত্যু কিংবা চূড়ান্ত যাত্রার দিকে আমরা ধীরে ধীরে ধাবিত হচ্ছি প্রতিদিন এবং দেবতা দাঁড়িপাল্লাসমেত অপেক্ষা করছেন অমরাবতীর সুউচ্চ কোনো স্থানে।
কখনো কখনো আমাদেরকে অমরাবতী থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়,
অকার্যকর এবং বাতিল ঘোষণা করা হয়
কিংবা সেই অব্ধি হয়তো যাওয়াই হয়না।
হঠাৎই,
দেবতা ক্যায়োস কতৃক "মানবজাতি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো" এরুপ বাণী আসার পর হতে জননীরা সন্তানোৎপাদন বন্ধ কোরে দিতে থাকলো। জরায়ুর ভেতরকার আর একটি ভ্রুণ থেকেও কচি হাত, পা, মগজ এবং আঙ্গুল গজিয়ে উঠলো না।
এরইসাথে পিসা'র হেলানো টাওয়ার আরো খানিকটা হেলে গেলো পশ্চিমের দিকে;
এমতাবস্থায়, ক্যাপ্টেন মর্গানের পেগ হাতে নিয়ে কেউ কেউ উচ্চস্বরে সম্মতি দিতে থাকলো,
"মানবজাতি বিলুপ্ত হোক,
মানবজাতি বিলুপ্ত হোক,
মানবজাতি বিলুপ্ত হোক।"