এই নির্জন প্রান্তরে দাঁড়িয়ে দেখছি আরও একটি বিকেলের মৃত্যু ,
কুয়াশা কাঠ সাজিয়ে তুলছে চিতা ,
আগুনের আহুতি নিয়ে পশ্চিমে অপেক্ষা করছে কৃষ্ণগহ্বর।
নিজেকে দেখে নিতে নত হয়েছে পাহাড়, গাছপালা
কালো ধোঁওয়ায় বুক পেতে রেখেছে ঘাস ,
আমি তখনও উন্নত শির, নিজেকে চিনি না, বুঝি না।
ছোট কাকুর বেহালায় ‘ইমন’ বাজছে ,
নিষাদ , গান্ধার , তীব্র মধ্যম ভাঙতে ভাঙতে পৌঁছে যাচ্ছে চিতার মাঝখানে ।
চিতারও এক নিজস্ব স্বরলিপি আছে
আছে চারিদিকে প্রাচীর ,
আমার কোশ রস স্বগতোক্তি করেছে ‘আঃ মৃত্যু, আজ তবে এইটুকু থাক।’
সিগারেটের গর্ভে প্রক্ষিপ্ত হয়েছে হয়তো অন্য কোন ভাবনার জারজ ভ্রূণ
থুতু ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা গর্ভপাতের মুহূর্তে ।
একে একে জ্বলে উঠছে সব দৃশ্য,
কেউ তারা হচ্ছে , কেউ ধোঁওয়া ।
ঝুঁকতে ঝুঁকতে দেখেছি -
সব কিছু পুড়ে গেছে পড়ে আছে শুধু চোখ ,
অন্ধকারেও দেখা যাচ্ছে ছোট কাকুর বেহালাটা ।