'তোমার তলপেটের নীচে কি আছে দেখি !'
এই বলে আমার দিকে এগিয়ে এল কিছু আঙুল ,
বিস্মিত হয়ে বললাম , 'আমি ঈশ্বর' ।
'মেল না ফিমেল? নাকি আদার্স? কোন ট্রেনে বিজনেস?'
এই বলে জিভ চেটে নিল ওরা ,
তাকিয়ে দেখলাম ওদের দাঁতের রঙ কালচে বাদামি ।
আমার মস্তক অবনত,
তৃতীয় চক্ষে নেমে এসেছে বিষাদ ।
আরও একবার বললাম 'আমি তোমাদের স্রষ্টা' ।
একটা ভাগাড়ের মত নীলচে গ্রহ ,
সেখানে জমে আছে মৃতদেহের স্তূপ ,
তারই জঠর থেকে বেরিয়ে এসেছে এ কারা?
আমিই কি দিয়েছি এদের রূপ?
হাত নেই, শুধু নখ আর আঙুল,
ঠোঁট নেই শুধু আছে দাঁত আর জিভ।
'ঐ খানে লাইনে দাঁড়াও, ভোটার কার্ড করিয়ে নাও, আঠারো?'
আমায় প্রশ্ন করল ওরই মধ্যে একজন।
তারপর স্রোত এসে আমায় ঠেলে দিল সবার পেছনে।
'ঠাকুর তুমি এসেছ?' আমায় চিনতে পারল এক বৃদ্ধা ,
তার যোনিদ্বার ঢাকা রয়েছে রক্তে ।
এই কি তবে মানুষ? আমি শুধালাম-
বৃদ্ধার চোখে জল, 'কি অবতারে নেমে এসেছ ঈশ্বর?'
আমি সদর্পে বললাম 'রমণী।'
বৃদ্ধা চোখ বুজল , অসহায় তার মুখ,
অস্ফুটে বেরিয়ে এল শেষ শব্দ -
'তুমিও নারী হয়ে এলে?'