বইমেলার কথা উঠলে আমরা নিয়মমাফিক তর্কে যাব
যোগ্যতা প্রতিভার কথা সূচীতে না রেখে অলিগলি কার চেনা বেশি তেমন আলাপের নির্যাস ঢেলে নেবো আমাদের পেয়ালায়
কেউ হয়তো বলবে ঐ শালা একটা বাল মানে মাথার তালুতে কিছু তন্তু থাকিলেও খুলির অভ্যন্তরে ছাগলের দানাদানা ওসব
বইমেলা ভাবলে চাহিদা জাগবে চা সিগারেট আর দলবেঁধে আড্ডার
পাশ দিতে হেঁটে গেলে চলনসই কোনো যুবতী, অজান্তে বাজাবো শিঁস
যা তাদের কানে ঢেলে দেবে তরল বিষ কিন্তু এ আমোদধারা চলবেই
আসিবে, চলিবে, ফুরায়ে যাবে ভাষার মাস আর আমরা কথা বলবো এমনভাবে যেন হ্রস দীর্ঘের বিধান বলে কিছু দেখেনি এই বঙ্গমুলুক
মুলুকটাও ভাগ হয়ে গেছে বলে কাঁটাতারের বেড়ায়, সীমান্ত পিলারের দুইধারে উচ্চারণের ভিন্ন ধারাদের আমরা হিসেবে রাখবো না ...
কবিতা ভাবলে আমাদের মাঝে কারো গান মনে পড়বে
মনে পড়বে আজ ম্যায় উপার, আসমা নিচে
পিছে পড়ে থাকবে স্টল প্যাভিলিয়নের সারি, ভিড়কামী বুভুক্ষু কবিদের চাতক চোখ
যে লেখকটির গল্প উপন্যাস উনি নিজে ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কেউ মন দিয়ে পড়েননি
উনার হাতে ধরা থাকা পুস্তকের পৃষ্ঠায় কি লেখা আছে আমরা জানতে চাইবোই না যেহেতু উনি সম্ভবত লিখে গেছেন এই, তিনি তো রেখে গেছেন সেই অমর সৃষ্টি, যা এই স্বল্পায়ু জীবনে ঘাঁটা হবে সামান্যই
আমরা ভাসা ভাসা উপায়ে ভাষা, ভালোবাসা কিংবা দুকক্ষের একটি বাসাঃ ভাড়া পাঁচ হাজার, এই সমস্ত লইয়াই গল্প আড্ডায় তর্কে বাজিতে রহিবো মশগুল
সীমান্তের এপার ওপার, ইধার উধার সর্বত্র আমরা মাড়িয়ে যাব তুচ্ছ পিঁপড়ের লাশ
আর চেঁচিয়ে জানান দেবো আমাদের সমস্ত দায় কর্তব্য হইয়াছে সমাপ্ত