"বহু ঋতু ঐ বৃন্তে রাখিনি মুখ"
- ডেস্কনোসিদো
নিজেকে বুড়ো বুড়ো লাগে, লাগে এমন কেউ একহাতে যার ভরসার লাঠি, আরেকহাত ঝুলে আছে ধরে রেখে স্থবির সময়ের ভর
বহুকাল যেন আমি দাঁড়াতে পারিনি, বহুদিন হয়েছে এমন- কেউ আসবে বলে আমি হা হা উচ্চারণ ছাড়াই হেসে উঠেছি নিজের ভিতর
আমাকে পাগল ভেবে পালিয়েছে শিশুরা, তবু কাউকে না কাউকে তো খুঁজেছি তাদের মায়ের মুখের আদলে অথবা ভেসে আসা শরীরের ঘ্রাণে কিংবা রূঢ় বয়ানে
ভেবেছি- এ যদি তার মত হয়... ভেবেছি এতএত ভুলের পর আরওকিছু ভুল সমীচিন নিশ্চয়, শুধু সময়ের রাখিনি হিসেব
নিজেকে বুড়ো বুড়ো লাগে, কতই বা বয়স? এইতো সেদিনও চড়েছি মামার ঘাড়ে, রেগেমেগে দাঁত দিয়ে কেটেছি মামীদের শাড়ি, ছিড়েছি কাকীমার তোয়ালে
আজ তাদের ঘোলা চোখ থেকেও ঝরে পড়ে জল, অদ্ভুত মায়াময় পৃথিবীতে যেন এটুকুই সম্বল, সবচেয়ে কঠিন ছিল বুঝি কাউকে পাওয়া....
এখন আংকেল আভাস দেয় সদ্য কিশোরীর চোখ, ইচ্ছে হয় পুরাতন দিনের মত অব্যর্থ কবিতার জাল ফেলি এদেরও উপর
ভরসায় থাকে, যুগ সময় সব বদলে গেছে ও যাবে, তবু একই অন্তর আর আবেদন রয়েছে অটুট তাদের অন্তর সংকেতের ভিতর
এত মায়া মনে, আহা! অনিবার্য জেনেও ভুল তারা করবেই করবে... আর সেইতো কবির সুযোগ, আরওকিছু কথা তবে গড়ে নেয়া যায় বানোয়াট
অচল বেশি তাই অভিজ্ঞতা ধেয়ে আসে, ভেসে আসে নাম মুছে ফেলা কারও প্রকৃত সন্তাপের পরিণত রূপ, তার উত্তাপে নিজেকে বুড়ো বুড়ো লাগে
আমি তোমার মত মেধাবী কবি নই ডিস্কনেসিদো, আমি নই তেমন ধ্রুপদী আড়াল চরিত্র, যারা লেখে, লিখে যাওয়া ছাড়া গতি নেই বলে
মামুলি হতাশাকে যারা বলে তোমারই মতো মহান করে, যারা হৃদয়ের কাছাকাছি রেখে বলে মানুষের কারণে মানুষের শোকের বিস্তারিত
"বহু ঋতু ঐ বৃন্তে রাখিনি মুখ" - বৃন্তের চেয়ে চানাবুট ভালোলাগে নাকি এই প্রশ্ন মনে জাগে, নিজেকে বুড়ো বুড়ো লাগে....