তোমার জন্য আজ সর্বশেষ ভেবে একটা চিঠি, আগুনে ভরা অব্যর্থ একটা বার্তাপত্র লিখতেই হবে। লিখতে হবে, যেহেতু আমি খুব সম্ভবত আলোর মতন অসীমের শূনতার ভিতর ঢুকে পড়ছি উদ্দেশ্যহীন। আমার চারপাশ থেকে উবে যাচ্ছে শিউলির গন্ধমাখা শহর আর মেঘেদের অভয়। শুধু আমার দেহ এড়িয়ে তবু গলা জড়িয়ে এখন এক সলতে স্বর্ণালি জরীর ফাঁস। এসব আমি ভুলবো কী করে? ভুলে যাওয়া মানে কি আহত মানুষের কপালের পাপ?
চারদিকে এতএত তছনছ, আমি তবু লিখতে বাধ্য। আমাকে লিখতে হবে ভালোবাসা গোল্লায় গেছে, অনুরাগের তিতলীরা উড়াল নিয়েছে মৃত্যুপুরীর মত উজান আকাশে। তবু বাতাসে কে ভাসালো তোমারই একমাত্র নাম?
এখন আমাকে লিখতেই হবে। জানাতে হবে ছারখার যত শব্দে, কী ভীষণ অনন্যোপায় এই রাত! লিখতে হবে এই অবশ্যম্ভাবী ইতিহাস, এমনই অনেক রাতের ভিতর কী ভীষণ হরফে অক্ষরে লেখা হয় তোমারই নামের শতশত টলোমলো রাত...
এরপর, এরপর আরেক চূড়ান্ত অপঘাতে আমার মৃত্যু হলে হোক, তোমার নাম এই ছাইপাশে না লেখার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাবাস হলে হোক। কারাগারের গরাদ গলে আমার ইংগিতগুলো তাকিয়ে থাকবে নতুন কাগজের মতো, বিরল শুভ্রতায়...