ভালোবাসার সে কী বোঝে, ভালোবাসার কালে ফেলে আসা সময়ের না বলতে পারা অগুনতি গর্হিত অপরাধ কখনো যাকে কুরে কুরে খায়নি? সে (বা তারা) তার (অথবা তাদের) তথাকথিত প্রেমের ভিতর বন্ধু স্বামী অথবা স্ত্রীর বেশি কিছু হয়নি (হয়ত সেটুকুও নয়), প্রেমিক প্রেমিকা তো অনেক বড় উপাধি...
ভালোবাসা কারো কাছে (লেখক/কবি এখানে শুধুমাত্র পর্যবেক্ষক) অস্থির কোনো সময়ে কারো একঘর শূন্য, বিকল্প ঘরে দুর্বোধ্য হরফের নাম, প্রবল আঁকুতিতেও যারে ছোঁয়া সাধ্যাতীত (অথচ সে মৃত নয়)। কেবল নাসিকা একটু উন্নত, আর বর্ণ ফ্যাকাশে হলেই তো এ সে কত কে বলে ফেলে, "ভালোবাসা এখানেই (মানে এদিকে চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে)"। এর বাইরে কেউ চাইতেও পারে বৃহৎ-নয়ন, রাত্রি-আঁধার কেশ, মেঘেদের উচ্চতা...
আমি যার কথা বলবো, যে তার অঞ্চলের প্রায় সকালে (অন্য কোনো দেশে তখন সন্ধ্যা নামলো বলে) ভুল করে ঘুম থেকে জেগে এই প্রলাপটুকু পড়বার সম্ভাবনা এখন খুব ক্ষীণ, তার বিশেষ কোনো সবলতা দুর্বলতা ছিল নাকি ছিল না সে বিশ্লেষণ এখন মূল্যহীন। তবু এখনও যে কেন তার পলাতক বাতিকে জেগে ওঠে সহস্র সক্ষম যুবার বুকে বত্রিশখানি উথাল নদীর ঢেউ (এখানে কেউ একাই একশ থেকে সহস্র হবার পথে হাঁটেনি), যেন হৃদয়ের খুব নিকটবর্তী কেউ খুব অভিমানে জানাতে ভুলে যাবে সাথে নেবার বায়না...
তারপরও এক মৃতনদীর চৌঁচির বুকে যত যন্ত্রণা, দুই অস্থির বিহঙ্গডানায় যত উচ্ছলতা, সেইসব অনুভূতির (বিপরীতধর্মী হলেও যুগপৎ) সাথে বলতে থাকা এই অলীক বয়ানের মিল এটাই যে, তুমুল বিষাদে ও তীব্রতম মনভালোর সময়েও কেউ কারো দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে না (যদিও পৌঁছে যেতে পারে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সমঝোতার পারস্পরিক আইনী ফরমান)...