ট্রেন থেকে নেমে দেখি, আকাশে মেঘ করেছে ,ঘন কালো মেঘ ।
প্ল্যাটফর্ম ফাকা , একদম স্তব্ধ নেই কোন কুলি-মজুর ।
শুনতে পাচ্ছি শুধু পথশিশুদের হাড় ভাঙ্গা আত্মচিৎকার ।
তাজা ভাত না , খাচ্ছে ওরা পঁচা-গলা বাঁশি খাবার ।
কেউ টানছে গাঁজা কিংবা ড্যান্ডি আবার কেউ করছে দলাদলি ।
একটু পা বাড়াতেই চোখে পড়লো টিকেট কালো-বাজারিদের দল ।
স্টেশন থেকে বেড় হয়ে ,সেকি জনপথ একদম ফাকা !
কেউ নেই , নেই কোন রিকশা ,নেই কোন গণপরিবহন !
ফুটপাত হয়ে আছে আস্ত ভাগাড়, ময়লার দূর্গন্ধে পথ চলা দায় ।
শুনলাম তারা নাকি ধর্মঘট করেছে, তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য ।
কিন্তু পাবে কি তারা ন্যায্য অধিকার !
পুঁজিবাদীরা ধরবে না তো ওদের টুটি চেপে ?
একটু এগোতেই দেখি দালাল বুদ্ধিজীবির মেলা ,
তারা দলালি করার জন্য দল ভারি করার পায়তারা করছে ।
আমাকে দেখ ওদের দলে ভেরানোর বৃথা চেষ্টা করল ।
আমি ওদের মুখে থুথু দিই , থুথু দিই ।
তারপর দেখি অফিস থেকে ফিরছে ভুঁড়ি মোটা কিছু লোক ।
তাদের শার্টের বোতাম ছিরে বেরিয়ে আসতে চাইছে ভুঁড়ি।
বুঝতে বাকি রইল না এরা সরকারের আমলা ।
রাস্তার পাশের একটি টাউন হলে দালাল কবি-সাহিত্যিক ,
তথাকথিত প্রগতিশীল -মাথা মোটা কলাবিজ্ঞানীদের পসরা বসেছে ।
তারা পাচ্ছে না দেশের কোন ভাল করতে অথচ
দেশটাকে ওরা ছাল ছাড়িয়ে লবন দিয়ে কাচা খাচ্ছে ।
এসব ভাবতে ভাবতে আসলাম শাপলা চত্বর । শুনেছি এখানে
অনেক মাথা মোটা কলাবিজ্ঞানীদের দেখা যায় ।
সেকি এতো দেখি জনসমুদ্র ! ডান বাম খিচুড়ি পার্টি
সব এক হয়েছে , তাদের একটাই দাবি
ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক ।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সকলেই পুঁজিবাদের দালাল ।
জনগণকে টুপি পরিয়ে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে ।
তুমি সাড়া দিও না হোক সে ক্ষমতাসীন কিংবা সে চায় ক্ষমতায় যেতে ।
সকলেই ধান্দাবাজ , কেউ দেখাবে উন্নয়নের জোয়ার ,
কেউবা গণতন্ত্রের মুক্তির নেশা কিংবা সাম্যবাদী চেতনা ।
তুমি সাড়া দিও না ক্ষমতায় গেলে ওরা পকেট ভারি করতে-
করতে তোমার দেখে চোখ ফিরেও তাকাবে না ।
কাউকে আবার দেখবে ধর্মের দোহাই দিয়ে দলে টানতে চাইছে ,
এদের থেকে সাবধান ,ধর্মের এরা দু-পসায়ার উপকার করতে পারে না ।
ওরা করবে জনগণের উপকার ! এই জনসমদ্রে -
চোখ পড়লো নিকৃষ্ট জীব হলুদ সাংবাদিকের দিকে
তার মুখে থুথু দিয়ে পালিয়ে এলাম ।
খানিক পরেই সন্ধ্যা এল নেমে ।
আমার পিছু নিয়েছে ফ্যাসিস্টদের উগ্র ডিটেকটিভ ,
পকেটমার , মলম পার্টি ,ডাকাত আরো কত বদমাশ ।
ওভার ব্রিজের সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই হাপিয়ে গেলাম
আমাকে দেখে একটি মেয়ে বলে উঠল এই যাবা ?
বুঝতে বাকি রইল না ওরা কারা । লজ্জায় বাকরুদ্ধ হয়ে
নিচে আসতেই চোখে পরলো তৃতীয় লীঙ্গের তৃতীয় অধ্যায় ।
ফ্যাসিস্টদের ভয়ে আড়ষ্ট আমার কলম , আমি ক্লান্ত প্রাণ এক ।
চাই একটু বিশ্রাম , হাতের বা-পাশেই ছিল আবাসিক হোটেল ।
ভিতরে ঢুকতেই বুঝলাম হোটেল না,
এটি সোনার বাংলার পতিতালয় নামক বিষফোঁড়া।