শৈত্য চলে এল বঙ্গে কুয়াশা তার সঙ্গে ।
মানব জীবন কেটে যাবে এখন নানা ঢঙ্গে ।
গায়ে দিয়ে গরম কাপড় পোহাবে এখন রৌদ্র ।
পথ মানবের নেই তো কাপড়, জীবন কি ক্ষুদ্র ?
ভোরের বেলা ধোঁয়ার ভেলা লাগে দেখতে দারুণ ।
কুকুর বিড়াল কাঁদবে এখন দশা অতি করুন ।
সকাল বেলা সিক্ত ঘাসে পরবে পায়ের ছোঁয়া ।
সূয্যি মামা উঠলে জেগে দিবে নরম ছোঁয়া ।
নানার বাড়ির পিঠার হাড়ি আসবে এখন বাড়ি ।
খেজুর গাছের রস খাব তো এখন কাড়ি কাড়ি ।
মায়ের হাতে খাব কত স্বাদের পিঠা পুলি ।
লেপের তলায় শুনব শুধু দাদির যত বুলি ।
শীতের হাওয়া আসবে খেতে সব অতিথি বাড়ি ।
শীতের আমেজ ছড়ে যাবে ভরবে রসের হাড়ি ।
হিমেল হাওয়ায় দুলবে শস্য শ্যামলিমা জমি ।
সোনার ফলে ভরে যাবে হাসবে কৃষক ভূমি ।
গ্রামীণ জীবন উঠবে হয়ে জয়নুলের ছবি ।
আলের ধারে কৃষক এখন হবে নতুন কবি ।
সর্ষে ফুলের ডগায় যখন বসবে কোন ভোমর ।
দুষ্ট বালক করবে তখন আনন্দ আর হুল্লোড় ।
গগন পানে উড়ে যত রঙবেরঙের ঘুড়ি ।
মন তো আমার ছোট্ট বালক ঘুড়ির সাথে উড়ি ।
বুড়ো মানুষ শীত তো বেশি করবে কাপা কাপি ।
আগুন জ্বেলে শীত মারতে শরীর মাপা মাপি ।
শীতের আমেজ ছড়ে যাবে হাসবে বঙ্গ বাসি ।
শীতল রাতে থাকে যেন সবার মুখে হাসি ।