নানার বাড়ি সে তো মধুর হাঁড়ি ,
কে বলেছে তোমায় ভাই ?
আমি শুধু নানা বাড়িতেই যত
উদ্বেগ গিয়ে পাই।
করি যে দুষ্টমি আর হাঙ্গামা
তাতে হতো যত কথা ।
নানা নানী দিত মাকে বলে সব
পেতাম মনের ব্যথা ।
চাই না যাব না বলেও যেতাম
শত কোটি কত বার ।
প্রিয় নদী পারে কলা গাছে ভেলা
ভেসে নদী হই পার ।
পিটুলির ডালে উঠেই দিতাম
গভীর পানিতে লাফ ।
কত ছিল মোর চেলা ও স্যাঙাত
সাথে আখ খেত সাফ ।
ভোঁ ভোঁ টো টো করে কত ঘোরাঘুরি
ছিল কত মোর তাল ।
সময় পেলেই মাছ ধরতাম
হোক সেটা ফুটো জাল ।
পানকৌড়ি দেখে করতাম মজা
তাকে ধরা ছিলা খেলা ।
জলে ডুবে ডুবে চোখ লাল করা
করতাম না তা হেলা ।
শামুক কুড়ায়ে দিতাম নানীকে
খেত তা নানীর হাঁস ।
কত ডিম বেচে, হাতে টাকা দিত
গুজে ,কিছু কিনে খাস ।
পিঠে পুলি করে নানী ডাক দিত
আয় রে খেয়ে যা সবে ।
সবার থেকেই বেশি করে পাই
মায়ের আঁচলে যবে ।
ফিরে যেতে চাই বাল্য কলরবে
ফিরে পেতে চাই আমি ।
তখন তো ছিল না, বাড়িতে কোন
মামার পত্নী মামি ।
হাহা হিহি কত ছিল হাসা হাসি
ছিল না মনের দুখ ।
পুরানো সে কথা মনে পরে যায়
মনে মোর কত সুখ ।