বিষ পান করব না ঢের কষ্ট হবে যে আমার ,
তবুও পেতাম যদি হেমলক বিষ ।
পানিতে ডুবে না আমি সাঁতার জানি তো ।
আগ্নেয়াস্ত্রে আমার করোটি উড়িয়ে দিব কীভাবে ?
হাতে নেই হ্যান্ডগান অথবা হ্যান্ড গ্রেনেড।
আমাকে নিয়ে যাওয়া হবে কোন লাশকাটা ঘরে ।
হয়তো তুমিও জেনে যাবা গলায় দিয়েছি দড়ি ।
কিংবা রেল লাইনে কাটা পড়ে গেছে আমার দেহ ।
হতাশা হয়েছে শেষ, আমি ততক্ষনে শান্তিতে ঘুমিয়ে ।
কেউ আমাকে হয়তো কেঁদে কেঁদে স্মরণ করবে ।
কেউবা বলবে , মরে গিয়েছে বেশ হয়েছে ।
আম্মুর কথা নাই বা বলি, যে পিতার চোখে পানি দেখিনি কখনো,
সেও তো আমার জন্য অশ্রুসিক্ত ।
তুমি কি কান্না করবে , ঝড়াবে আমার জন্য অশ্রু ?
তোমার চোখের পানি , আমি পরলোক থেকে দেখে ,
হয়তো আমিও কেঁদে দিব, পারব না অশ্রু মুছে দিতে ।
আমার দেহটি পরে রবে লাশ কাটা ঘরের টেবিলে ।
কোন চিকিৎসক এসে আমাকে কাটা ছেঁড়া করবে ।
বুঝতে চাইবে কিভাবে হয়েছে আমার শান্তিুর ঘুম ।
আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসার সাথেই ।
হয়তো সকলেই কেঁদে দিবে , কেউবা বিষোদগার করবে ।
গ্রামের কাটমোল্লা আমার জানাজা প্রত্যাখ্যান করবে ।
এক দল বলেও উঠতে পারে , এ তো জাহান্নামি ।
তখন আমার টনক নরতে পারে ,
মনে হবে কেন আত্মহত্যা করলাম ।
জাহান্নাম এর ভয়ে ছটফট করতে থাকবো ,
প্রত্যাবর্তনের অভিলাষ করব তখন ।
কিন্তু হায় ! কোন উপায় নেই , কোন ফেরার পথ নেই ।
অক্ষরবৃত্ত - মুক্তক
পলাশবাড়ী - গাইবান্ধা