এই অনিয়মের রাষ্ট্র ব্যবস্থায়
যত নিয়ম ও তোমাদের সৃষ্ট শৃঙ্খল
বুঝি শুধু আমাদের জন্য।
হত দরিদ্রদের জন্য
তোমাদের ক্ষুধা লাগে
আমাদের বুঝি ক্ষুধা লাগে না
তোমাদের জীবনের নিরাপত্তার প্রয়োজন
আমাদের বুঝি নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই।

তোমাদের ক্ষুধা লাগলে
তোমরা রাষ্ট্রের মেরুদন্ড খাও।
তোমাদের ভাষায় যাকে তোমরা অর্থনীতি বল।
তোমাদের তৃষ্ণা লাগলে
তোমরা আমার ভাইয়ের রক্ত পান কর।
আমার ভাই রফিক,সালাম,জব্বার,
শফিউর,বরকতের রক্ত
আমার ভাই নূর হোসেনের রক্ত
আমার ভাই আবু সাঈদ, মুগ্ধ,
ওয়াসিম,ইয়ামিনের রক্ত।
তবু তোমাদের তৃষ্ণা নিবারণ হয় না।

অনিয়মের বেড়া জালে আরও কত প্রাণ নিয়েছ
তোমার পাষাণের দল।
এমনি দুটি নাম আবরার ফাহাদ ও তোফাজ্জল।
না জানি আরও কত অজানা নাম তোমরা গিলে খেয়েছ,কে জানে।

তোমাদের নিরাপত্তার জন্য
তোমরা বেগমপাড়া গড়েছ,
আস্তানা গেড়েছ ফ্রান্স, জার্মান,
লন্ডনের মতো বহু জায়গায়।
কিংবা আরও উন্নত কোনো দেশে।
তোমাদের চিকিৎসার জন্য
তোমরা খুজেছ সিংগাপুর, মালয়েশিয়া
কিংবা আরও উন্নত কোনো দেশ।
তোমাদের স্বাস্থ্য আছে আমাদের বুঝি নাই।
তোমাদের শরীর আছে আমাদের বুঝি নাই।

সবার জন্য যদি একই নিয়ম হয়।
তবে তুমি আমার কাতারে নও কেন?
কিংবা আমি তোমার কাতারে নই কেন?
তোমার মাথার নিচে নরম তুলতুলে
শিমুলের তুলোর বালিশ।
আমার মাথায় ইট।
এটাই কি তবে রাজা প্রজার সম্পর্ক।
এভাবে কি একটা সভ্য রাষ্ট্র চলতে পারে।
তোমরা শাসক শ্রেণী বরাবরই শোষক।

তোমরা উঁচু আওয়াজে কথা বললে সেটা আইন।
আর আমরা উঁচু আওয়াজে
প্রতিবাদ করলে সেটা কারাদণ্ড।
সবার জন্য যদি একই নিয়ম গড়তে না পারো
তবে ভেঙ্গে দাও ঐ শৃঙ্খল,
ভেঙ্গে ফেল্ ঐ লৌহ দন্ড,
তোমার এজলাসের মিথ্যে খেলা,
গিলে খাও তোমার সংবিধান।


রচনা: ২৯ নভেম্বর ২০২৪
স্থান : মাদারগঞ্জ,জামালপুর।