এইতো সেদিন দক্ষিণা মেঘ কে জিজ্ঞেস করলাম।
কোথায় যাচ্ছো?
সে অবাক বিস্ময়ে দাঁড়ালো
উত্তর দিলো উত্তরের হিমালয়ে
মেঘের অবাক হওয়ার কারণ -
অনেক দিন তার সঙ্গে অভিমান করে ছিলাম
কথা হয়নি।
শেষবার তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম-
"চিঠি এনেছো?"
সে ব্যথিত হৃদয়ে বলেছিল না, আজ আনি নি!
সেদিন মেঘের উপর প্রচন্ড রাগ হয়েছিল
ধমক দিয়ে বলেছিলাম,আজ আননি কেন?
প্রতিদিনই তো আনতে।
মেঘের সেদিনের ব্যথিত হৃদয়ের ভাষা আমি বুঝিনি
তাই অভিমান করেছিলাম।
একটু মিদু হেঁসে মেঘের প্রশ্ন!
কবি আজ হঠাৎ ডাকলে যে?
আমি মাথাটা নিচু করে একটু নরম সুরে বললাম ,এমনি।
কিন্তু সে বুঝতে পেরে গেল আমার একাকিত্বের করুন……! নিস্তব্ধতা
কারণ সে আমার অনেক দিনের পুরনো বন্ধু
প্রায় আমার চিঠি আনা নেওয়া করতো।
একটু চুপ থেকে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে মেঘ বললো
কবি আমায় মিথ্যে বলছো
আমি তোমায় চিনিনে, হুম ...
আজও বুঝি সে মায়ায় জড়িয়ে আছো?
আজও বুঝি হৃদয়ের রং তুলিতে তার ছবি আঁকো?
আজও বুঝি তার অপেক্ষায়,অপেক্ষার প্রহর গুনছো?
কি লাভ বলো কবি? কি লাভ?
তাঁর প্রশ্ন গুলো করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে, কারণ -
সে খুব কাছ থেকে আমার প্রিয়ার-
বিশ্বাস ঘাতকতার চিত্র টুকু দেখেছিল।
সে দেখেছিল একটা নিষ্পাপ হৃদয়-
কিভাবে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
কিভাবে ভালোবাসার রঙিন সুতো গুলো -
একটা একটা করে ছিঁড়ে যায়।
কিভাবে সেই ডাক বাক্সসটার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়।
কিভাবে অবহেলায় নির্ভীত্তে হারিয়ে যায়-
সেই নীল খামের চিঠি, চিঠির রং তুলি।
সে দেখেছিল, খুব কাছ থেকে দেখেছিল,
খুব কাছ থেকে…..
রচনা: ০৯ নভেম্বর ২০২৪
স্থান : মাদারগঞ্জ,জামালপুর।