মুগ্ধতায় ভরা শৈশবের স্নান পাত্র অদের খাল
কৈশোরে বিছায়েছ এ কী ভাবনার অন্তর্জাল!
সরোবরের স্ফটিক জলের সাথে ছিল আড়ি
মোহাবিষ্ট ঘোলা জলের প্রেমে খাল পাড়ের বাড়ি।।
এ পথে নাইওরী কন্যা-নব বধূর কান্নার সুর লহরী
কত পারাপার,সওদা ভরি যায় মহাজনের তরী।।
বেদেনী বায় নাও,বেদে পিছনে বসে হাল ধরে থাকে
মৎস্য শিকারে কৈবর্ত-জেলে খালের বাঁকে বাঁকে।।
সম্প্রীতির বন্ধনে তব জলে চলে কত নাও
বিনি সুতায় বাঁধিয়াছ দুই পাড়ের কত গাঁও!!
বর্ষা জুড়িয়া থাকে ঝাঁকে মিঠা পানির মাছ
শীত বসন্তে কৃষক কুল করে থাকে ধান চাষ।।
তব কাদাজলে খেলব বলে সখা সখিরা মিলে
মায়ের শাসন-বকুনি ফেলে ছুটে গেছি কত ছলে।।
অর্ধেক পৃথিবীর লোনাজল,কাকচক্ষু জল,নীল পানি;
স্বচোঁখে দেখেছি,অন্তরে তব ঘোলাজলের হাতছানি।।
হাবুডুবু খেয়েছি জলে,কেড়ে না নিলে শেষ নিঃশ্বাস;
পাড়ে দিলে ঠেলে,তাই তব জলে আমার এত বিশ্বাস।।
শহুরে জীবনে যখন ফর্সা আকাশ ডেকে বৃষ্টি নামে,
আমি ভাবি তোমার বুকে চিপাখালের পানি নামে।।
ভেসে যায় খেরপাড়া,ডুবে কচুক্ষেত,ভাসে পাতিহাঁস,
জেনে রেখো তব জলের কাছাকাছি করি বসবাস!!