জীবন কাহিনী তাঁর এক বড়ই আশ্চর্য
শুন্য থেকে দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য।
নিত্যকার অভাব ছিল পিতার সংসারে
কেটেছে কতদিন অর্ধেক জল-আহারে।
পিতামহ ঈশ্বর দাস মাতা রামমালা দেবী
দুজনাই স্বপন্ডিত, ছিলেন সাধক সাধ্বী।
জন্মরাতে জ্বলেনি ঘরে কেরোসিনের বাতি
‘জ্যোতির্ময় কর হে ঈশ্বর’ অভাবীর আরতি।
বাদলা দিনে জন্ম বলে ডাকত লোকে বাদল
আঁচল ছেড়ে নিরুদ্দেশ ঘুচাতে চোঁখের জল।
অর্ধাহারে অনাহারে নির্ঘুমে কেটে গেছে দিন
কঠোর শ্রম সাধনায় তাঁর জীবন হলো রঙিন।
ছোটখাটো ব্যবসা করে একদিন হলেন বণিক
ভুলে যাননি অতীত তাই দান করতেন অধিক।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সনদ যেন পরহস্তে ধন
মনুষ্যত্বের বিদ্যা শিক্ষা আজ বড় প্রয়োজন।
শিক্ষাসদন পাঠাগার পাঠশালা ধর্মশালা কত
অবিরত গড়ে তোলেন রাস্তা-পুল অাশ্রম যত।
জগত জুড়ে কত আমীর বাদশা কত মহাজন
মনে প্রাণে দানের বাদশা হতে পারে কয়জন!
জ্ঞানী গুণী,দরিদ্র-ধনী সাধক রাজা মহারাজ
বিনয়চিত্তে স্মরণ করে দানবীর চন্দ্রকে আজ।
ঊনবিংশ’তকে বিটঘরে জন্মিলেন কীর্তিমান
পুণ্যস্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লা মহেশাঙ্গন প্রমাণ।
৭ নভেম্বর ২০২০ইং
রূপসা নদীর তীর
শহর খালিশপুর, খুলনা।