শৈশবে  বিজয় দিবস মানে বড়দের হাত ধরে অনুষ্ঠান দেখা
দেশাত্মবোধক গান,আবৃত্তি,ঝাঁঝালো বক্তৃতা শুনে অবাক হয়ে থাকা।
শীতের সকালে স্নান শেষে কত ত্বরাকরে স্কুলে যাওয়া যায়
কী যে এক শিহরিত বুকে ছুটে গেছি,চললাম পিছে তোরা আয়।
কৈশোরে বিজয় দিবস মানে কাইতলা যঁজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে রাতজাগা
শাসন বকুনি খেয়ে শাড়ি সংগ্রহ,রাতভর মঞ্চ সাজানো শেষে চিড়া মিঠাই ভাগা।

আমাদের সময় ছিল সাইড পাকা টিন শেড বিশাল এক হলরুম
সিক্স সেভেন এইটের ক্লাসে বৃষ্টি এলে পড়ত পানি,শব্দ হত রূম ঝুম।
জনাব,জসীমউদ্দিন,সাইদুল হক,সহিদুর রহমান, চঁন্দন কুমার;
জামান স্যার-শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলার মাঠে আদর্শ ছিল সবার।

মুজিবুর ভাই,মোহাম্মদ আলী,সুজন,মাছুমা,পান্না আপা আবৃত্তি করতো বেশ
সহোদর শাহাবুদ্দিন,আসমা ছাড়াও মোস্তাক-জুলির সুরের আবেশ।
অগ্রজ আজহার আলী,সৈয়দ আলাউদ্দীন,সুকার্নো,আবু সায়্যিদ,সঞ্জয় দা,সায়েদুর রহমান
সুন্দর সতেজ কণ্ঠে বক্তব্য রাখতেন থাকত মুক্তিযুদ্ধের নথিপ্রমাণ।

বিজয় দিবসে সংগীতানুষ্ঠানে কখনো দলীয় সংগীতে মিলিয়েছি ঠোঁট
কখনো উপস্থাপনা,কখনো স্বরচিত কবিতাও করেছি পাঠ।

মাইকে যখন ঘোষণা হত-অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুষ্ঠান শুরু হবে
কী যে এক ভাললাগা দোলা দিতো আলোড়িত সবুজ পল্লবে।

আজ বিজয় দিবসে সেই নির্মল আনন্দ আছে কিনা জানিনা!
প্রগতির মিছে প্রতিযোগিতায় ডুবে তার খবর আর রাখিনা।
যৌবনের শেষভাগে এসেও জীবন বীণায় বাজে সেই সুর
আমি সারাটি জীবন থাকতে চাই স্কুল জীবনের সেই চিরকিশোর।

রচনাকাল:
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ইং
রাত ১১:৪৫ মিনিট।
খালিশপুর, খুলনা।