বৈশাখে মন পড়ে রয় বটতলীর ঐ মেলায়
সখা সখি গিয়েছিনু জড়াজড়ি ধরি গলায়।
তপ্ত দুপুর দরদরে ঘাম যেতাম দক্ষিণে মেহারী
খানিক দূরের মাঠের আগে বল্লভপুরে বাড়ি।
কত কী যে কিনা যেত আনা আনা করে
চার আনাতে আইসক্রিম খেতাম ডাটি ধরে।
আট আনাতে মুড়ির মোয়া,মিঠাই-মন্ডা কিনে
পুকুর পাড়ে বসে খেতাম লুটের তিল্লাই বিনে।
আট আনাতে রঙিন ঘুড়ি, চার আনাতে ঘোড়া
কয়েক টাকায় কেনা যেত মুতরা বেতের মোড়া।
আট আনাতে বাঁশের বাঁশি, চার আনাতে শিকা
টাকার লোভে জুয়ার ঘরে কেউ হয়েছে বোকা।
ডেড্রিটা সবার প্রিয়, বাউলের একতারাটা চাই
মাটির পুতুল, হাঁড়িপাতিল কে কিনে নি ভাই?
কলসী ফুল আর ঝুনঝুনিটা কিনতে হত আগে
সাপের খেলা দেখার পরে কবজ তাগা লাগে!
মাথার খোঁপা চুলের ফিতা রেশমি চুড়ির ঝুড়ি
আলতা নুপূর স্নো পাউডার কিনে তবে বাড়ি।
মঙ্গল শোভাযাত্রা পান্তা ইলিশ উৎসবের নামে
খোয়া গেছে স্মৃতির বৈশাখ নবান্ন নেই গ্রামে।
"লাগ বেলকি লাগ" মন্ত্র করেছে আমায় হরণ
নগর জীবন কাইড়া নিছে ধলা একহান মন।
মোংলা পৌরসভা।
১ বৈশাখ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।