সুজন ভাবিয়া কহিল কুজনকে ডাকিয়া
মন্দে আসে না সুখ দেখেছ কি ভাবিয়া।

কুজন বলিল ক্ষমতার বলে সুযোগ মিলেছে যাহা
প্রাসাদ গড়ার স্বপ্নে বিভোর, কখনো ভাবিনি তাহা।

সুজন কহিল আমানতের ভার কাঁধে নিয়েছে তুলে
নয় কি অনুচিত, খেয়ানত করা, পাপকে গিয়াছ ভুলে।

কুজন বলিল সাধারণ মানুষ বুঝেনা তো এতো কিছু
রাজা-মহারাজ, প্রভু-মালিক বলে ঘুরে পিছু পিছু।

সুজন কহিল কি বুঝেনি? ষোল আনাই বুঝে
ভৃত্য হয়ে মনিবের দাবিদার, কি আর হবে খোঁজে।

কুজন বলিল স্বাধীনভাবে অর্থ কামিয়েছি আজ
গড়েছি তাজমহল, একেছি আল্পনা, ভিন্ন রকম সাজ।

সুজন কহিল সুখেরই আলয়ে থাকিবা কত কাল
আছে যত ভবে, ছেড়ে যেতে হবে, ভাবনি পরকাল।

কুজন বলিল ভেবেছি বহুবার বিবেক দিয়েছে বাধা
অনিয়মে মন করেছে অনশন, থাকতে পারিনি সাদা।

সুজন কহিল লোভে পড়ে দিলকে রাখনি তাজা
সময়ের ব্যবধানে কোনো কালে পেতে পার সাজা।

কুজন বলিল সাজা তো চলছেই বিবেকের আগুনে পুড়ে
কলুষিত হচ্ছে মন কুঠুরি, সারাটা অন্তর জুড়ে।

সুজন কহিল কত যে সুখ অগাধ সম্পদ আহরণে
মনে হয় যেন বাদশাহী জীবন, কোনো চিন্তা নেই মনে।

কুজন বলিল বুঝা বড় ভার, দেখে বাহিরের আবরণ
অনলের দহলে বিবেকের দংশন চলিবে আমরণ ।

সুজন কহিল সীমা লঙ্ঘনকারী যে বা যারাই হয়
ঐশ্বরিক নিয়মে পাকড়াও হয়ে, হবেই পরাজয়।

অবশেষে কুজন ভাবিয়া বলিল চাহি গো শুধু মাফ
প্রভু যেন দেন ক্ষমা করে, জীবনের যত পাপ।


             (রচনাকালঃ- ১৭/০৬/২০২৩)