জ্ঞানী-গুণীজন সমাজের বন্ধন জানে সারা বিশ্ব,
তাদের সাধনায় সৃষ্টকর্ম, সকলের প্রেরণার উৎস।
প্রবন্ধ কাব্য সাহিত্য রচনায় করে যান কত সাধনা,
নতুন প্রজন্মের পথ চলায়, আছে দিক নির্দেশনা।
মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হওয়ার আশায়,
জীবনকে তারা উৎসর্গ করেন, মানুষের ভালোবাসায়।
জ্ঞানীজন যারা তাদেরকে চিনি, জানা আছে তাদের কর্ম,
উপযুক্ত সময়ে স্বীকৃতি না দেওয়া, এটাই কি প্রকৃত ধর্ম?
জীবদ্দশায় স্বীকৃতি দিতে মোরা যে কতই কৃপণ,
মৃত্যুর পরে স্মরণ করতে, করি কত আয়োজন।
আমরা জানি তবুও না মানি, স্বীকৃতি দেওয়ার রীতি,
কিভাবে সমাজে রক্ষিত থাকবে, জ্ঞানী-গুণীদের স্মৃতি।
জানার পরও স্বীকৃতি দেইনা, মোরা কেমন অবিচারী,
মৃত্যুর পর বেড়ে যায় আফসোস, বেড়ে যায় আহাজারি।
মৃত্যুর পূর্বে সম্মাননা দেওয়াটা বড়ই প্রয়োজন,
কর্মফলের স্বীকৃতি পেলে, সান্তনা পাবে মন।
---সমাপ্ত---
( রচনাকালঃ-১২/০৬/২০১৮)