মনের অভিলাষে সন্তান লালনে গর্ভধারিনী মা,
মায়ের আনুকূল্যে নবজাতক শিশু ধরায় রাখল পা।
সন্তান যখন পেটের ক্ষিধায় কান্নার বুলি বুলে,
স্নেহময়ী মায়ের দু'হাত দ্বারা কুলেতে নেন তুলে।
শত কিছুতে বুঝে না শিশু, দেখতে চায় মায়ের মুখ,
দরদী মায়ের পরশ না পেলে কেঁদে ভাষায় বুক।
মমতার জালে সন্তানকে জননী সোহাগে রাখেন বুকে,
প্রতিপালনের পাহারাদার হয়ে থাকেন সুখে দুখে।
নিজে না খেয়ে সন্তানের জন্য খাবার রাখেন তুলে,
কেমন করে এই সন্তান বড় হয়ে মাকে থাকে ভুলে?
রোগব্যাধিতে দিবা রাত্রি যখন কেউ করতো না দেখা,
সন্তানের অসুখে বিনিদ্র রজনী কাটত মায়ের একা।
প্রার্থনা করতেন বাঁচাও খোদা জায়নামাজে বসে,
কষ্ট দিও না সন্তানকে তুমি আমার কোনো দোষে।
ভালো হয়ে উঠবে সন্তান মায়ের মনে বড় আশা,
মায়ের ভাবনা বৃদ্ধ বয়সে সন্তানই তার ভরসা।
সন্তান গড়লেন মানুষ করে সারাটা জীবন খেটে,
শেষ বয়সে কেন মায়ের অনাহারে দিন কাটে?
সুখ ছিলনা কপালে লেখা বিধাতা দিয়েছেন লিখে,
মায়ের ভাবনা এটাই জীবন, জীবন নদীর বাঁকে।
সন্তানের দ্বারা দুখিনী মায়ের অন্তর ভরা দুখ,
তবুও জননী প্রার্থনা করেন সন্তানেরই সুখ।
---সমাপ্ত---
(রচঃনাকাল-২৭/১০/২০১৯)