"আমরা গাহি শুধু তোমার পূণ্যাত্মার গান
শূন্য হাতে কী দিব আজ তোমার প্রতিদান।"
ভুলতে পারিনি কখনো তোমায়, মনে পড়ে ক্ষণে ক্ষণে
পদ্মাসন পেতে বসে আছ তুমি আমাদের মনে,
সোহাগের মৃদু ছন্দে জয় করেছ সবার প্রাণ
ওগো! এগুলোই তোমার পূণ্যাত্মার প্রতিদান।
মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছিলে,ওগো বিগলিত প্রাণ,
সহায় সম্বল বিক্রয় করে, করে গেলে দান;
মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ইহাই প্রভু চান
ওগো! এগুলোই তোমার পূণ্যাত্মার প্রতিদান।
বিক্রয় করিলে সুখের আলয়, গড়তে জ্ঞানে ঘর
বলতে সদায় গ্রামবাসী মোরা কেউ নহি কারো পর,
আজ জ্ঞানের ঘরে বসে সবাই করছি তোমার গান
ওগো! এগুলোই তোমার পূণ্যাত্মার প্রতিদান।
প্রকাণ্ড ঈদগাহ্ তোমারই কীর্তি, তোমারই অবদান
সেখানে সবাই এক সাথে মিলে করি স্রষ্টার গান,
দু 'হাত তুলে প্রর্থনা করে, করি মাগফিরাতের গান,
ওগো! এগুলোই তোমার পূণ্যাত্মার প্রতিদান।
জয় করেছ মানুষের মন, ক্রয় করেছ খোদার ঘর
তারই নিচে বহে চলেছে দুধের নহর।
হুরীরা পিয়ালা নিয়ে দুধ করাবে পান
ওগো! এগুলোই তোমার পূণ্যাত্মার প্রতিদান।
রাশি রাশি ফুল নিয়ে বেহেশতের হুরী
আগুলিয়ে হতে চাবে তোমার জুরি,
সুমধুর কণ্ঠে শোনাবে তোমায় প্রাণ হরণী গান
ওগো! এগুলোই তোমার পূণ্যাত্মার প্রতিদান।
--সমাপ্ত--
(রচনাকালঃ–০৮/০৯/১৯৮৯)
মরহুমজনাবআলীসাহেব"জনাআলী(সরকারি)কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় শহরের দুটি বাসার মধ্যে একটি বাসা বিক্রয় করেছিলেন।