মহীতে যখন ভূমিষ্ঠ হয় নিষ্পাপ শিশুবৎ,
চেতনায় তার আসতে থাকে উপলব্ধির পথ।

শৈশবের দোলনা থেকে তার শিক্ষাজীবন শুরু,
শিক্ষক ওস্তাদ যাই বলেন পিতা-মাতাই প্রধান গুরু।

বিদ্যাপীঠ তার গন্তব্য হয় ছয় বছরের কালে,
সেখানে তার শিক্ষাগুরুর সান্নিধ্যতা মিলে।

শিক্ষাদাতা শিখান তাদের আদব-কায়দার রীতি,
মমত্ববোধ জাগিয়ে তুলেন পরস্পরের প্রতি।

শিশুরা যদি বুঝতে পারে শিক্ষক আপনজন,
মনের হর্ষে ভরে উঠবে সকল শিশুর মন।

পিতৃত্ব বা মাতৃত্ববোধ যদি থাকে গুরুর মনে,
উৎফুল্ল চিত্তে শিশুরা সবে মিলবে তারই সনে।

হাসিখুশিতে শিখবে পড়া রাখবেনা তো বাকি,
মনের মধ্যে প্রেরণা পেলে দিবে নাকো ফাঁকি।

আদর্শ শিক্ষক শিশুকে করেন মায়ার জালে বন্দি,
পড়া শিখাতে কৌশলে আঁটেন নানা রকম ফন্দি।

তুই-তুকার ভাষা, বেত্রাঘাত সবকিছু নেন তুলে,
সকল শিশুকে আপন করে হৃদয়টা দেন খুলে।

আদর্শের অনুষঙ্গ তারা কখনো যাবেনা ভুলে,
একদিন তারা প্রণাম জানাবে গুরুর চরণতলে।

বিদ্যার পরশে শিশুরা সবে শিখবে শ্রদ্ধা-ভক্তি,
তারা কখনো কারো প্রতি করবেনা কটুক্তি।

আদর্শ শিক্ষক জ্ঞানার্জনে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার,
সুললিত ভাষায় বিকাশ ঘটান সুপ্ত প্রতিভার।

মানুষ গড়ার কারিগর বলে সর্বাগ্রে যার স্থান,
তিনি দিতে পারেন মনোরাজ্যে ঐশ্বর্যের সন্ধান।
  
                         ---সমাপ্ত---
       (রচনাকালঃ-১১/০৯/২০১৯)