দুই হাজার বাইশ সালের জুন মাসের বন্যা
চোখে পড়ে বানভাসী মানুষের কান্না।

হাওর অঞ্চল চারদিকে জল, নেই কোনো নৌযান
এবার বুঝি সলিল সমাধিতে যাবে সবার প্রাণ।

জলরাশি বেষ্টিত পল্লীগ্রামে সারি সারি ছোট ঘর
রাতের আধারে সাপ-বিচ্ছুর ভয়ে, কাপে যে অন্তর।

দস্যুদের দল, মারে যে ছোবল, ভয়ে কাঁপে গ্রামবাসী
অসহায়কালে যাকিছু সম্বল, ডাকাত নিয়ে যায় আসি।

ভেসে গেলো ঘরবাড়ি, ভেসে গেলো গোলার ধান
বেকায়দায় পড়ে বহু মানুষের চলে গেলো প্রাণ।

পেটের খিদায় হাহাকার করে শিশু বৃদ্ধ নারী
অন্ন পাঁকাবার চুলোও নেই, নেই বিশুদ্ধ বারি।

অথৈ জল, কোথাও নেই স্থল, মা ভাবেন সর্বক্ষণ
পানিতে ডুবে গেলো যে মারা, মায়ের বুকের ধন।

আকাশ বাতাস ভারি হয়ে গেলো মায়ের আর্তনাদে
বুক ফাটা কান্না চোখে নেই জল, নির্বাক হয়ে কাঁদে।

মানুষ যখন মনুষ্যত্ব ভুলে করে অপকর্ম
হিতাহিত জ্ঞান থাকে না তার, ভুলে যায় নিজ ধর্ম।

অবিচার জুলুমে যখন পাপের বোঝা হয় ভারী
ঐশ্বরিক সমনের বার্তা হিসাবে আসে, বন্যা মহামারী।

মানবতায় যবে দূর হবে অসহায় মানুষের দুখ্
তবেই ধরাতে নেমে আসবে স্বর্গ রাজ্যের সুখ।


                   (রচনাকালঃ-২২/০৬/২০২২)