নিস্তব্ধ নিশীথে আকাশে ভাসে এক বিমুগ্ধ মেঘ,
নিস্পৃহ চাঁদের প্রান্তর ছুঁতে চায়, তবু সে নিষ্প্রবাহ।
দুই বিপরীত অস্তিত্ব—একটি নির্ভীক অমর্যাদা,
অন্যটি জ্যোতিষ্ক, অসীম একাগ্রতার প্রতিমূর্তি।
মেঘের শরীর জুড়ে কল্পনার ভারী আবরণ,
চাঁদের শীতল আলোয় অদৃশ্য ছায়াপাত ঘটে।
তারা চেয়ে থাকে একে অপরের দিকে,
তবু জানে, সেই ছোঁয়ার মুহূর্ত চিরকালই অলীক।
মেঘ জড়িয়ে আছে বাতাসের আচ্ছন্নতায়,
তার সঙ্গী হিমশীতল প্রশান্তি, শূন্যতার গভীরে।
চাঁদ অপেক্ষা করে নীরবে,
তবুও জানে, ঐক্যের ছায়া তাদের কখনো আলিঙ্গন করবে না।
যখন মেঘ দুঃখবিলাসী অশ্রুবর্ষণে কাঁপে,
তার অবিরাম অশ্রু ঝরে মাটির বুকে ধীরে ধীরে।
চাঁদ অটল থাকে, অপরাজেয় নৈঃশব্দে,
অভ্রান্ত আভায় ঢেকে রাখে তার অন্তরের গভীর ব্যথা।
আকাশে তারা দুজনের পথচলা,
অনন্তকাল ধরে খুঁজে চলে অব্যক্ত মিলনের মুহূর্ত।
দূরত্বের ছন্দে বাঁধা পড়া সেই প্রগাঢ় আকাঙ্ক্ষা,
যেন আকাশের অগম্য গহ্বরের এক অবিনশ্বর রহস্য।
তারা হয়তো কখনো মিলবে না,
তবু মেঘ আর চাঁদের নীরব অনুরাগে বাঁধা,
অক্ষয়কালের দোলায় ভাসা এক চিরন্তন প্রেম,
যার ভাষা শুধুই আকাশ জানে—মৌন, অথচ মহান।