শহরের বক্ষ হতে আঁধি নামে নীরব,
দাঁড়িয়ে আছে, যেন নিথর তরঙ্গের স্রব।
পথে তুষারমুখী জনতার হাহাকার,
যুবকেরা আঘাত হানে, নিষ্ঠুরতার আহ্বান বারবার।
পরক্ষণেই ক্ষীণ পেষণ, শীতল চাবুকের ছোঁয়া,
চোখে তাদের অগ্নির দীপ্তি, রোষের প্রবাহ বয়ে যায়।
তবু অবিচল, যেন পাষাণ প্রতিমা,
ভাঙা প্রেমের ছায়ায় আবদ্ধ, মনে বিষাদের দাহ।
আঘাত থেমে এলো, একটু বিরাম দিল সময়,
ভাতের থালা সম্মুখে, তবু কীসের সংশয়?
ক্ষুধার্ত দেহ গ্রহণ করে কয়েক গ্রাস ভোজ,
কিন্তু মন? মনের যন্ত্রণা অমৃতের অতীত খোঁজ।
পুনরায় ঝড়ের মতো ফিরে এলো আঘাত,
আবার যুবকেরা আনে বিষণ্ণতার রাত।
এইবার নিস্তব্ধ, নিথর তার প্রাণ,
কৃষ্ণপক্ষের মতো হারালো তার শেষ অভিজ্ঞান।
যুবকদের হৃদয় পাথরে খোদিত, বোধ নেই,
প্রেমের দগ্ধ স্মৃতিতে নিভে যায়, বিষাদ নেই।
ভাতের থালায় শূন্যতা, মনে শূন্যতা আর,
অপমানের আঘাতে নিভল জীবনের দ্ধার