রক্তক্ষরণ
--- বিশ্বজিৎ শাসমল
ভেঙে ফেলা যদি এতো সোজা হয়
তবে চাঁদ তারা কেন অক্ষয়
মৃত পালমিরা অমর, কি নয়?
প্রশ্নে দুনিয়াদারি।
দখল শাসন আসনের লোভ
বিকৃত ব্রেনে চষা বিক্ষোভ
মরীচিকা জালে আক্কেল লোপ
মৃত্যুর কারবারি।
রক্তবীজের নাই অবসান
পুড়েছে কলিজা, পচিয়েছে কান
মগজ ধোলাইয়ে ন্যায়বোধ ম্লান
আপনে মহান ভাবি।
ধর্ম বিভেদে নিপীড়ন ভয়
সামাজিক, তবু সমাজের নয়?
"ধর্ষনে কায়া বিশোধিত হয়"
পুরোদস্তুর দাবী।
সদা কপচায় শাস্ত্রের জ্ঞান
লিখেছে মানুষ, জানে শয়তান
তবু টেনে আনে খোদা ভগবান
গুরুত্ব বাঁচে তবে।
উপযোগী যত সময়ের কুশ
সময়ের তালে লিখেছে মানুষ
বস্ত্র চুক্তি ধর্মের ঘুষ
বুঝেও বুঝবে কবে!
দিন বদলায় রাত বদলায়
তবু জানোয়ার কাঁচা মাছ খায়
ঘৃণার মহলে শ্বাস নেওয়া দায়
যদি বিপরীত খানে।
মন্দির গড়ে মসজিদ গড়ে
মন্দির ওড়ে মসজিদ ওড়ে
কার অভিশাপে ভক্তেরা মরে
লেখা কোন খতিয়ানে।
বারুদ গ্রেনেডে ঈশ্বর সেবা
ধ্বংসের বানী গেয়েছিল কেবা.....
ধর্মযুদ্ধে মেলে পরিষেবা
নারীর শ্লীলতাহানি।
জানানা'র মন উথলিত হলে
হিজাব পরুক পুরুষের দলে
ঘোমটা বোরখা খোদায় কি বলে?
তবু কই খোদা বাণী।
মঠ মন্দির মসজিদ আজ
সাধু ভন্ডের মিলেমিশে কাজ
কেউ দেয় সেবা, কেউ চায় রাজ
লাগাম রাখতে হাতে।
ঝোলা খালি করে দিয়েছে ভিক্ষা
শান্তির বাণী , বিভেদ শিক্ষা
ঘৃনা সম্প্রীতি ধর্ম দীক্ষা
হেঁটে চলে তফাতে।