আকাশ ভেঙে বৃষ্টি হলো মেদিনীপুরের ছাদে
সরল চাষী মজুর দাসী চোখ ফুলিয়ে কাঁদে
ডুবলো পুকুর ডুবলো জমি আবাদ গেল ভেসে
শুকনো মুড়ি আখের গুড়ে সপ্তাহ যায় শেষে
পানীয় জলে আকাল চলে তেষ্টা জ্বালায় নাড়ি
কংসাবতীর ক্রোধ কবলে ডুবেছে ঘরবাড়ি?
সর্বহারা তবুও তারা বাঁচার লড়াই করে
মাটির খোঁজে কামড়ে মাটি, মুহুঃ মুহুঃ মরে।
কোথায় গেল? ভাষণ দেওয়া নেতার ব্যাটা গুলো
ভেজা কাপড় শুকায় গায়ে, নেই কারো চাল-চুলো
চিরটাকাল বানাও গাধা ঝুলিয়ে টোপে রুটি
ভাবছো টাকি, মানুষ না হে! শুধু দাবার গুটি?
চেয়ারগুলো দিব্যি ঘুমায় ঠাণ্ডা ঘরে বসে
আহার ফাঁকে পরের ভোটের হিসেব-নিকেশ কষে
গরম ফ্যানের অভাব ভারী, উনুন গেছে নিভে
উদ্বাস্তুর আর্তনাদে, রক্ত জমে জিভে।
বিপদ ভারী, আয় বাঙালি, ঐক্যে বাঁধি আয়
কোমর জলে দুর্বিষহে আমার হাজার ভায়
ভায়ের দায়ে মায়ের দায়ে বাড়া আপন হাত
লড়বো সবে জিতবো তবে মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ
'খান' এর কথা ছাতার মাথা নাইবা হবে বাদে
হেথায় আমার ছোট্ট পরী ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদে
হাতটা ধরে তুলবো টেনে তলিয়ে যাওয়া ভায়ে
ভিজুক জামা, ভিজুক জুতো, সাবাস দেবে মায়ে।।