রাখাল ছেলে
সাঈদুর রহমান লিটন
মাঠে মাঠে দিন কেটে যায় রাখাল ছেলে ভালো,
সহজ সরল জীবন যাপন দেখতে সে যে কালো।
সকাল সন্ধ্যা গরু চড়ায় মাঠেই সারা বেলা
সঙ্গিবিহীন একলা মাঠে এক নিয়তির খেলা!
রোদে পুড়ে বৃষ্টি ভিজে তবু মুখে হাসি
পরের বাড়ি কর্ম করে থাকে বারোমাসি।
লেখা পড়া নাই জানা তার তবু অনেক জানে,
মুখটা যেনো পাঠশালা তার বিদ্যা মধ্য খানে।
নিয়ম করে গরুর সাথে এখান সেখান থাকে
মোহন বাঁশি বাজায় রাখাল স্বপ্ন মধুর আঁকে।
নদীর কূলে বটের মূলে বাজায় রোজি বাঁশি
সূরের মোহে মন খুয়েছে কত সর্বনাশি।
গরু হলো সঙ্গের সাথী গরুর সাথেই খেলা
গরুর সাথে চলতে ফিরতে চলে যায় তার বেলা।
মাঠের মাঝেই খাওয়া দাওয়া গামছা পেতে শোয়া,
বৃষ্টি এলে হঠাৎ মাঠে একলাই গতর ধোয়া।
সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফিরে গরু বাঁধে ঘরে
সারাটাদিন সোহাগ করে রোদ্র, বৃষ্টি ঝড়ে।
রাত্রি হলে রাখাল ছেলে মাতায় সুরের বানে
রাত্রি যেন মন আনন্দ পরশ লাগে প্রাণে।
গ্রামঃ জগন্নাথদী পোঃ ব্যাসদী গাজনা
উপজেলাঃ মধুখালী জেলাঃ ফরিদপুর
০১৮৪২৫১৩৭১১